বাবা স্কুলে পড়াতে চাইলেও মায়ের আশা ছিল ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াবে। লেখাপড়ার পাশশাপাশি দ্বীনের শিক্ষা গ্রহন করবে। তাই বাড়ি ছেড়ে নানা বাড়িতে এসে বাবুখালী আর্দশ দাখিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেনিতে ভর্তি হয়। ভর্তির একদিন পর মধুমতি নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় মাদ্রাসা ছাত্র শিশু ইয়ামিন শেখ (১২)। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দাতিয়াদহ গ্রামের মোল্যার ঘাট এলাকায় মধুমতি নদীতে গোসল নেমে এ দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা প্রর্যন্তু নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ইয়ামিন শেখ ১৫ মার্চ বাবুখালী আর্দশ দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। সে মধুখালী উপজেলার গাজনা এলাকার রাজ্জাক শেখের ছেলে। নানা বাড়িতে পড়ালেখা করবে বলে গত মঙ্গলবার সে উপজেলার দাতিয়াদহ গ্রামে নানাবাড়ি চলে আসে।
নিখোঁজ ইয়ামিন শেখের মামা মনসুর ফকির জানান, মাদ্রায় লেখাপড়া পড়ালেখা করবে বলে দুই দিন আগে নানা বাড়িতে আসে। বুধবার মাদ্রাসায় চতুুর্থ শ্রেনিতে তাকে ভর্তি করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় আমার ছেলে ও স্থানীয় কয়েকজনের সাথে বাড়ির পাশে মধুমতি নদীতে গোসল করতে নামে।
গোসলের একপর্যায়ে ইয়ামিন গভীর পানিতে ডুব দিয়ে তলিয়ে যায়। তারপর অন্য শিশুরা দৌড়ে গিয়ে ইয়ামিনের নিখোঁজের খবর দেয় বাড়িতে পৌছলে তারা ছুটে এসে ইয়ামিন কে উদ্ধারের চেষ্ঠা করে। তবে এখনো প্রর্যন্তু তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইসরাইল শেখ জানান, নিখোঁজের খবর শুনে দ্রæত ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় জেলে ও পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখ্ুঁজির দুইঘন্টা পর ইয়ামিনকে না পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা এখনো প্রর্যন্তু ঘটনাস্থলে পৌছেনি।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. মোস্তাইন আলী বলেন, ‘উদ্ধার কাজে যোগ দেয়ার জন্য খুলনা থেকে ডুবুরি দলকে আসার জন্য খবর দেয়া হয়েছে। তারা শুক্রবার সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করবে।’ এদিকে মৃত অবস্থায় হলেও উদ্ধারের আশায় নদীর তীরে বিলাপ করছেন স্বজনরা।
প্রিন্ট