ঢাকা , বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

২১ মানে মাথা নত না করা

নড়াইলে ৪৪৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোনো মাদ্রাসাতে নেই শহীদ মিনার

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি’ ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই বাংলা ভাষাভাষী সকল মানুষের মনে দোলা দেয় এ গানটি। যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদের কথা স্মরণ করার একমাত্র চেতনার স্মৃতি শহীদ মিনার। অথচ ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও ৪শ’ ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি। এছাড়া জেলার কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৯৮টি। এর মধ্যে কলেজ ২৮টি, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪১টি। এসব কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৩টিতে শহীদ মিনার নেই। ৪৪টি মাদ্রাসার একটিতেও কোনো শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৯৫টির মধ্যে ৩৮৪টিতে শহীদ মিনার নেই।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অসিার মোঃ হুমায়ূন কবীর বলেন, দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ডিজাইনের শহীদ মিনার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেজন্য নতুন করে শহীদ মিনার নির্মান করা হচ্ছে না।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ছায়েদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাসহ জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শহীদ মিনার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়গা জটিলতা রয়েছে এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে নতুন করে শহীদ মিনারের ডিজাইনও এসেছে, নতুন রূপে শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি এই জেলাতে সদ্য যোগদান করেছি যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই চেতনার প্রতীক নেই, শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়গা জটিলতা এবং একই যায়গায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় তারা সম্মিলিতভাবে দিবসটি পালন করে থাকেন।
অপরদিকে, জেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারটি অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাঠে। এখানে জাতীয় কর্মসূচীর সাথে সংগতিপূর্ণ কর্মসূচি স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে, যে চেতনায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের অপেক্ষায় থাকা উচিৎ, সেই চেতনা বর্তমানে কারো মাঝে দেখা যায়না। ২০ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টার পরে বিশৃংখল ভাবে ঠেলাঠেলি করে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ায় ২১ শে ফেব্রুয়ারীর প্রকৃত চেতনা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ হয় বলে মনে করেন নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

২১ মানে মাথা নত না করা

নড়াইলে ৪৪৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোনো মাদ্রাসাতে নেই শহীদ মিনার

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি’ ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই বাংলা ভাষাভাষী সকল মানুষের মনে দোলা দেয় এ গানটি। যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদের কথা স্মরণ করার একমাত্র চেতনার স্মৃতি শহীদ মিনার। অথচ ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও ৪শ’ ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি। এছাড়া জেলার কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৯৮টি। এর মধ্যে কলেজ ২৮টি, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪১টি। এসব কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৩টিতে শহীদ মিনার নেই। ৪৪টি মাদ্রাসার একটিতেও কোনো শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৯৫টির মধ্যে ৩৮৪টিতে শহীদ মিনার নেই।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অসিার মোঃ হুমায়ূন কবীর বলেন, দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ডিজাইনের শহীদ মিনার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেজন্য নতুন করে শহীদ মিনার নির্মান করা হচ্ছে না।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ছায়েদুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাসহ জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শহীদ মিনার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়গা জটিলতা রয়েছে এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে নতুন করে শহীদ মিনারের ডিজাইনও এসেছে, নতুন রূপে শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি এই জেলাতে সদ্য যোগদান করেছি যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই চেতনার প্রতীক নেই, শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়গা জটিলতা এবং একই যায়গায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় তারা সম্মিলিতভাবে দিবসটি পালন করে থাকেন।
অপরদিকে, জেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারটি অবস্থিত জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাঠে। এখানে জাতীয় কর্মসূচীর সাথে সংগতিপূর্ণ কর্মসূচি স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে, যে চেতনায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের অপেক্ষায় থাকা উচিৎ, সেই চেতনা বর্তমানে কারো মাঝে দেখা যায়না। ২০ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টার পরে বিশৃংখল ভাবে ঠেলাঠেলি করে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ায় ২১ শে ফেব্রুয়ারীর প্রকৃত চেতনা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ হয় বলে মনে করেন নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।