তথ্যপ্রযুক্তি তথা অনলাইন ব্যবস্থাপনার ফলে জলমহাল ইজারায় সরকারি আয় বেড়েছে তিন গুণ। গতকাল সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত দরদাতাদের থেকে ১০৪টি জলমহাল ইজারা দিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ অর্থ আয় করেছে। এসব জলমহালের সরকার নির্ধারিত মোট মূল্য ছিল ৭ কোটি ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৩ টাকা। বিপরীতে সর্বোচ্চ দরতার অনুকূলে ইজারা মূল্য আয় হয়েছে ২০ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪৪ টাকা। যা সরকারি ইজারা মূল্যের চেয়ে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯ হাজার ৭২২ টাকা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন জলমহাল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের ফলে পুরো ইজারা প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতার সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। এর ফলে যে কেউ যে কোনো স্থান থেকে দরপত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে। আগে অনেকক্ষেত্রে একাধিক চক্র একাজে সুযোগ নিত। অনেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন না। তাদের বাধা দেওয়া হতো। ফলে এক ধরনের মনোপলি তৈরি হয়েছিল জলমহাল ইজারা ব্যবস্থাপনায়। এসব এখন করার সুযোগ নেই। ফলে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সঙ্গে সরকারি আয়ও বাড়ছে।
জানা যায়, গতকাল জলমহাল ইজারা কমিটির সভায় ১০৯টি জলমহাল (যেগুলো সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পভুক্ত) উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১০৫টি জলমহাল ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে সমিতি নিয়ে আইনি জটিলতা থাকায় সেগুলো নিষ্পত্তি করা হয়নি।
ইজারা মূল্যবৃদ্ধির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জলমহাল হচ্ছে, সুনামগঞ্জের রৌয়া ফাটাকুড়ি গোয়াচুড়া হরুয়া জলমহালের সরকারি ইজারা মূল্য ছিল ৯ লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ টাকা। সেখানে সর্বোচ্চ আদায় মূল্য পাওয়া গেছে ২০ লাখ ১ হাজার ২৮০ টাকা। ঘাগটিয়া হুগলিয়া পতেঙ্গা (বদ্ধ বিল জলমহালের সরকারি ইজারা মূল্য ছিল ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯১৮ টাকা। সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া গেছে ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৪ টাকা। মরাগাং গ্রুপ জলমহালের ইজারা মূল্য ছিল ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৯১২ টাকা। দর পাওয়া গেছে ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৯০ টাকা।
প্রিন্ট