ফসলী জমির মাটি, টাকা ও প্রভাবশালীদের কাছে প্রায় এক প্রকার জিম্মী হয়ে রয়েছে। কোন প্রকার আইনি তোয়াক্কা না মেনেই চলছে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে পুকুর খননের প্রতিযোগীতা । আর এমনটি শুরু হয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের জয়পাশা গ্রামে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জয়পাশা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের মো.হাবিবুর রহমান হবি ফকিরের দেড় একর ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে পুকুর খনন করছে। জানা গেছে এই ফসলী জমির মাটি স্কাভেটর( ভেকু) দিয়ে কেটে বিভিন্ন ইট ভাটা ও ভরাট কাজে ব্যবহৃত করছে।
হবি ফকির চিকিৎসা নিতে ঢাকা থাকায় জমির মালিককে একাধিক বার ফোন করে পাওয়া না যাওয়ায় তার সাথে কথা হয়নি। তবে তার অনুপস্থিতে তার ভাই দাদপুর প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক বাচ্চু ফকিরের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তেলজুড়ী গ্রামের আব্দুল আলিম নামের এক মাটি ব্যবসায়ী তার ভেকু দিয়ে হবি ফকিরকে পুকুর খনন করে দিবে এবং বাকি মাটি সে অন্য জাগায় বিক্রি করে দিবে ।
ভেকু মালিক আলিম বলেন, আমাকে তারা প্রতিদিনের শ্রমিক মুজুরিতে কাজ দিয়েছে। জমির মালিকের ভাই বাচ্চু ফকির ও ভেকু মালিক আলীম বলেন, মৎস অফিসের কাছ থেকে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করার অনুমতি নিয়েছে । পুকুর খননে তাদের কাছে লিখিত কোন অনুমতি আছে কিনা তা জানতে চাইলে মাটি ব্যবসায়ী আলিম বলেন , সেটা মালিক পক্ষ জানে।
এ বিষয়ে মৎস অফিসার রুহুল আমিন বলেন, আমার অফিস থেকে এমন কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি এমনকি আমি জানিনা ।
কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় বলেন, কৃষি জমিতে এ ভাবে পুকুর কাটলে অচিরেই হারিয়ে যাবে ফসলী জমির পরিমান। আর সে কারণে ফসলী জমির নাল পরিবর্তন হয়ে জলাশয়ে পরিনিত হচ্ছে।
এমনটি হলে অল্প দিনের মধ্যে ফসলী জমির সংকটে পরবে বাংলাদেশের কৃষক! যার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত সয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বাঁধা সমুক্ষে পরবে বলে জানান।