সোমবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর বড়ব্রিজ থেকে জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের তারাপাশা স্লুইচগেট পর্যন্ত পৌনে ৩ কোটি টাকার ১০ দশমিক ২৪৫ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স।
তিনি বলেন, নদী-খাল পুনঃখনন কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার যেন নয়ছয়ভাবে কাজ করে সরকারের জনকল্যাণমুখি উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত না হয় এবং দূর্নীতি প্রতিরোধে ঠিকাদারের কাছ থেকে স্থানীয়দের সিডিউল মোতাবেক কাজ বুঝে নেওয়ার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, নদী ও খাল খননের ফলে উন্মুক্ত মাছ চাষ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, জলজ প্রাণীর অবাধ বিচরণ এবং নদীর দু’পাড়ে বনায়ন হলে সার্বিকভাবেই মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে। তাই সরকারের এই মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নে দূর্নীতি, অনিয়ম রোধ করে ঠিকাদারাদের সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করার আহবান জানান।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজার সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেন, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাষ্টার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার রেখা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা হিরোক, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান রকি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি খন্দকার আহমেদ শরীফ ডাবলু, মালিগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদক আব্দুল করিম, মালিগাছা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান উম্মত আলী, বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম শরীফ, পাবনা বিগবাজারের চেয়ারম্যান আলহাজ তরিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়- প্রথম সংশোধিক) এর আওতায় পাবনা সদরের ডি-৬, এস-৬ এবং ডি-৪, এস-১১ প্রকল্পে মেসার্স সৌরভ ট্রেডার্স ও জাহিদুর রহমান নামের জয়েন্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করবে। এই কাজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। সোয়া ১০ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন কাজে নদীর প্রশস্ত হবে তলদেশ থেকে ৪০ ফুট এবং জায়গা ভেদে ৫/৭ ফুট গভীরতা থাকবে বর্তমান নদীর গভীরতা চেয়ে।
প্রিন্ট