নারীকে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলায় ভেড়ামারা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলামকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার(২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার প্রায় সাত বছর পর বিচার পেয়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষ ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু তালেব বিশ্বাস বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামি কাজী শরিফুল ইসলামকে পাচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হেদায়েত হোসেন বলেন, ‘মামলার রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ হয়েছি। ন্যায়বিচারের আশায় আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার তৎকালীন সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন ওই নারী। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ওই বছরের ১২ জুলাই শরিফুল ইসলাম ওই নারীকে তাঁর কক্ষে একা পেয়ে জাপটে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শরিফুল কিলঘুষি মেরে ওই নারী কর্মীকে জখম করেন। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। শরিফুলের বর্তমান কর্মস্থল কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় ছিল।
প্রিন্ট