নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্যে জিম্মি হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থী অভিবাবকেরা শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন প্রভাবশালী দূনীতিবাজ শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন।তাইতো জনমনে প্রশ্ন নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দূনীতির হোতা কোচিংবাজ মঞ্জুর হোসেনের খুটির জোর কোথায়?
নতুন শিক্ষাক্রমে ৬ষ্ঠ,৭ম শ্রেণিতে থাকছে না কোন গতানুগতিক পরীক্ষা পদ্ধতি।শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পারদর্শীতা যাচাই করে মূল্যায়ন অ্যাপসে পাঠাবেন।শ্রেণি কক্ষেই পড়াশোনা শেষ করার কথা রয়েছে,ফলে শিক্ষার্থীদের কোন প্রাইভেট ও কোচিং ক্লাস করা লাগবেনা।অথচ সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে পূঁজি কওে দুর্নীতিবাজ
শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন গণিতের শিক্ষক না হয়েও প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে রুটিনে গণিতের ক্লাস নিয়ে শুরু করেছেন নিষিদ্ধ কোচিং বাণিজ্য।
এ বিষয়ে অভিবাবকেরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলে অভিযোগের বিষয়ে খোজ নিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে স্কুল মাঠের উত্তরপার্শ্বে টিনের ঘরে গিয়ে দেখা যায় নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মাসের শিক্ষক মোঃ মঞ্জুর হোসেন নিজ স্কুলের ছাত্রদের কোচিং করাচ্ছেন প্রতি মাসে ১২০০ টাকার বিনিময়ে।
সাংবাদিকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠেন মঞ্জুর হোসেন। সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, আমরা হুক্কো খ্য়া না, আমাদের ছেলে পেলে আছে টার্মিনাল পার হতে দেব না, দেখা হবে টার্মিনালে। তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসক তাকে কোচিং করানোর অনুমতি দিয়েছে, তাই সাংবাদিকরা যা পারে তা করুক।সাংবাদিকদের গালিগালাজ করে সাংবাদিকদের উপর ছাত্রদের আক্রমণ করার জন্য উসকে দেন এবং ছাত্ররা সাংবাদিকদের মটরসাইকেল ভাংচুর করেন।
এ ছাড়া তিনি ছাত্রদের পড়তে আইছি পড়ব শ্লোগান শিখিয়ে দিয়ে মিছিল করতে বলেন।এর আগেও নিজের অপকর্ম চালাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে তিনি ব্যবহার করতেও দিধা করেনি তাইতো নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কিশোর গ্যাং তৈরির কারিগর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন।
উল্লেখ্য, তিনি ছাত্র জীবনে ক্ষমসীন দলের পদ পদবিতে ছিলেন এবং বর্তমানে শিক্ষক নেতা পরিচয় দিয়ে সর্বত্র প্রভাব খাটানোর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিবাবকেরা বলেন, প্রবল ক্ষমতাশালী দুনীতিবাজ শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের কাছে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থী অভিবাবক সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে।এই দূনীতি বন্ধে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন,আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।আমি চেষ্টা করছি অনিয়ম গুলো দুর করতে।
প্রিন্ট