মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা (তালতলা) স্থানে বিশ্বরোড সংলগ্ন পূর্ব-পশ্চিম মাথায় ট্রাকে করে মাটি ভরাট করে জমি দখলের পায়তারা করছে ক্ষমতাশীল লোকজন। শুক্রবার বেলা ১০ টার সময় সরেজমিনে দেখা যায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অবমাননা করে রাতের আধারে ট্রাকে করে তিন স্থানে মাটি ফেলে পাহাড়ের মতো উচু করে রেখেছে।
মাটি ফেলার বিষয়ে ইছাখাদা (তালতলা) গ্রামের মৃত গোলজার খাঁর পুত্র মোঃ বাবর আলী (৮৫) জানান একই গ্রামের হাফিজার রহমানের পুত্র আকিদুল ইসলাম একজন দুর্ধর্ষ খারাপ প্রকৃতির লোক। ইছাখাদা মৌজার আর এস ৪৭০ খতিয়ান ভুক্ত আরএস দাগ নং- ১১২৬ একক অংশে ৩১ শতক জমি ক্রয় করে জমির মালিক হয়ে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতেছি।আকিদুল ইসলাম (৪০) হঠাৎ করে জমি জোর দখলের পায়তারা করলে বাবর আলী মাগুরা সদর সহকারী জজ দেওয়ানী আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে যাহার নং- ১৩/২০১৬।
এই মোকদ্দমায় মাগুরা বিজ্ঞ আদালত আকিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। হঠাৎ করে আকিদুল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সকাল অনুমান ৮.৩০ টার সময় ট্রাকে মাটি নিয়া বাবর আলীর জমির পূর্ব-পশ্চিম মাথায় বিশ্বরোড সংলগ্ন তিন জায়গায় সরকারি হাইওয়ে রাস্তার জায়গায় মাটি ভরাট করতে থাকে ও পাহাড়ের মতো উচু স্তুপ তৈরি শুরু করে।
এই সময় মাটি ভরাট করে দখলে নেওয়ার সময় বাবর আলী ও তার ছেলেরা বাধা দিলে আকিদুল ইসলাম তার সঙ্গের লোকজনদের সামনে তাকে খন-জখমের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। সরেজমিনে আরও দেখা যায় আকিদুল ইসলাম বড় ধরনের গোলযোগ বাঁধানোর জন্য এখনও মাটি ভরাট করার কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় শাহীনুর রহমানের বিক্রয়কৃত জমির দোকানের সামনেসহ ৩ স্থানে মেম্বার রুহুল আমিন বাবু, হাশেম খাঁ এর পুত্র দরবেশ খাঁ ও হারুন অর রশীদের পুত্র মাহবুব রহমান মাটি ভরাট করার কাজে জড়িত আছে।
বাবর আলী খাঁ ও এলাকাবাসীর লোকজন বলেন একজনের দখলকৃত বাড়ি ও দোকানের সামনে কি করে প্রভাবশালী মহল জোর করে সরকারি রাস্তার জমিতে মাটি ফেলে দখল করে এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে অবমাননা করা ছাড়া আর কিছু নয়, তারা আইনের আওতায় সঠিক বিচারের আশা করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। মাটি ভরাট বিষয়ে মাগুরা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট