ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাবনায় চাঞ্চল্যকর আমিরুল হত্যা মামলার মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

সম্প্রতি পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর আমিরুল ইসলাম নামে এক যুবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁনকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাবনা সদর উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁন।
বৃহস্পিতবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ঘটনা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে জাসদ থেকে আ.লীগে অনুপ্রবেশকারীরা। এই পৌর নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছি। নির্বাচনে নৌকার পরাজয় হলে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরর পক্রিয়াসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা।
এলাকায় আমার প্রতিপক্ষ জাসদ থেকে বর্তমানে আ.লীগে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুলতান মাহামুদ খাঁন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায়  হত্যা সংঘটিত করে আমি এবং আমার ভাইসহ  আমার সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। এই সুলতান ও দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হাসানের যৌথ বাহিনী আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেছে।
আবু সাঈদ খান বলেন, সম্প্রতি আমার ইউনিয়নে চর এলাকায় একজন রাজমিস্ত্রিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সুলতান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। তারা হত্যা করে যাওয়ার সময় সর্বহারা দলের স্লোগান  দিয়ে চলে যায়। এটা একটা কৌশল নিয়েছে হ্যতাকারীরা। এই সন্তান্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যা করছে সাধারন মানুষদের। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারন মানুষ আজ ভয়ে আতঙ্গের মধ্যে জীবন যাপন করছে।
গত বছর এই সুলতান আমার এলাকার হুকুম খাঁ নামে এক ব্যাক্তির হত্যার প্রধান আসামী। তা হলে কিভাবে তিনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিনের বেলাতে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনের শহরে মিছিল করে গেলো। আমাকে নিয়ে রাজপথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলো। আমি প্রশাসনের কাছে আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই। এই সকল হত্যাকান্ডের ঘটনার সঠিক তদন্ত করুন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করুন। তাহলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত হ্যতাকারী কারা। এই হত্যাকান্ডসহ আমার ইউনিয়নের সকল হত্যাকান্ডের সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সঠিক ও সত্যা সংবাদ পরিবেশেনের অুনরোধ জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড হুকুম খানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও তার ছেলে মগরব খান।
এ সময় সাবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নিহত হুকুম খানের স্ত্রী ও তার ছেলে কান্না জড়িত কন্ঠে তার স্বামী ও পিতার  হত্যাকারী হিসাবে সুলতার মাহমুদ খানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম উল্লেখ করে বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান অবু সাঈদ খান পুলিশ প্রশাসরে কাছে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তাসহ সম্প্রতি খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ

error: Content is protected !!

পাবনায় চাঞ্চল্যকর আমিরুল হত্যা মামলার মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
সম্প্রতি পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর আমিরুল ইসলাম নামে এক যুবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁনকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাবনা সদর উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁন।
বৃহস্পিতবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ঘটনা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে জাসদ থেকে আ.লীগে অনুপ্রবেশকারীরা। এই পৌর নির্বাচনে আমি নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছি। নির্বাচনে নৌকার পরাজয় হলে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরর পক্রিয়াসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা।
এলাকায় আমার প্রতিপক্ষ জাসদ থেকে বর্তমানে আ.লীগে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুলতান মাহামুদ খাঁন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায়  হত্যা সংঘটিত করে আমি এবং আমার ভাইসহ  আমার সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। এই সুলতান ও দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হাসানের যৌথ বাহিনী আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেছে।
আবু সাঈদ খান বলেন, সম্প্রতি আমার ইউনিয়নে চর এলাকায় একজন রাজমিস্ত্রিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সুলতান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। তারা হত্যা করে যাওয়ার সময় সর্বহারা দলের স্লোগান  দিয়ে চলে যায়। এটা একটা কৌশল নিয়েছে হ্যতাকারীরা। এই সন্তান্ত্রাসীরা একের পর এক হত্যা করছে সাধারন মানুষদের। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারন মানুষ আজ ভয়ে আতঙ্গের মধ্যে জীবন যাপন করছে।
গত বছর এই সুলতান আমার এলাকার হুকুম খাঁ নামে এক ব্যাক্তির হত্যার প্রধান আসামী। তা হলে কিভাবে তিনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিনের বেলাতে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনের শহরে মিছিল করে গেলো। আমাকে নিয়ে রাজপথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলো। আমি প্রশাসনের কাছে আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই। এই সকল হত্যাকান্ডের ঘটনার সঠিক তদন্ত করুন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করুন। তাহলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত হ্যতাকারী কারা। এই হত্যাকান্ডসহ আমার ইউনিয়নের সকল হত্যাকান্ডের সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সঠিক ও সত্যা সংবাদ পরিবেশেনের অুনরোধ জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড হুকুম খানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও তার ছেলে মগরব খান।
এ সময় সাবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নিহত হুকুম খানের স্ত্রী ও তার ছেলে কান্না জড়িত কন্ঠে তার স্বামী ও পিতার  হত্যাকারী হিসাবে সুলতার মাহমুদ খানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম উল্লেখ করে বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান অবু সাঈদ খান পুলিশ প্রশাসরে কাছে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তাসহ সম্প্রতি খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।