ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে বেদখলে কৃষি অফিসের ‘সিড স্টোর’

  • ফরিদপুর অফিসঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২০১ বার পঠিত

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের সিড স্টোরের জমি বেদখল হয়ে গেছে। সিড স্টোরের পাকা ভবন গায়েব করে দিয়ে প্রভাবশালী মহল ওই জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় কোন সিড স্টোর না থাকায় ওই এলাকার কৃষকেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

সম্প্রতি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এব্যাপারে আলোচনার পর বিষয়টি নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, ঘোষপুর ইউনিয়নের ধর্মহাটা মৌজায় ভীমপুর বাজারের সংলগ্ন প্রায় ১৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছিল এই সিড স্টোরটি। এখানে সিড স্টোরের পাকা ভবনের হলরুম, গোডাউন ও একজন ব্লক সুপার ভাইজার থাকার কোয়ার্টার ছিল। একজন ব্লক সুপারভাইজারও সেখানে থাকতেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধর্মহাটি মৌজার সিড স্টোরের ওই ভবনের বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নেই। ঘোষপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মজিবর রহমান ওই জমি দখলে নিয়ে কিছু অংশ জুড়ে পাকা বাসভবন নির্মাণ করেছেন। আর অবশিষ্ট জমিতে তিনি বাগান ও একটি দ্বীতল মার্কেট ভবন নির্মাণ করেছেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মজিবুর রহমান সিড স্টোরের পাকা ভবন থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, তাঁর পিতা মরহুম সরদার মোজাম্মেল হোসেনের প্রচেষ্টাতে তাদের জমিতে ওই সিড স্টোর তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘুর্ণিঝড়ে ধ্বসে যাওয়ার পর সেটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, যদি পরবতীতে সিড স্টোর তৈরি করা হয় সেজন্য পাশের ভীমপুর বাজারে তিনি কিছু জমিও দিয়েছেন।
তবে মজিবুর রহমানের দাবি অনুযায়ী ভীমপুর বাজারে সিড স্টোরের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকান ঘর দেখিয়ে স্থানীয়রা জানান, এই জমি সিড স্টোরকে দেয়া হয়েছে বলে তারা জেনেছেন। তবে এইসব দোকানীরা কিভাবে ওই জমিতে দোকান ঘর তুলে ব্যবসা করছেন তা তারা জানেননা। আর মজিবর রহমান বলছেন, বাজার মেলানোর স্বার্থে অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব ঘর তুলেছে।

ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, তাঁর এলাকাটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল। একারণেই এখানে এই সিড স্টোরটি স্থাপন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে, সিড স্টোরটি বিনিময় করা হয়েছে কিন্তু এটি কি করতে পারে কিনা সেটিই প্রশ্ন। এব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সিড স্টোরটি পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সিড স্টোরটির জমি বেদখলে রয়েছে। সম্প্রতি উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবনটি কিভাবে ভেঙ্গে ফেলে জমি দখল করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি জমিও ‘সিড স্টোর’টি ফিরে পেতে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে বেদখলে কৃষি অফিসের ‘সিড স্টোর’

আপডেট টাইম : ১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের সিড স্টোরের জমি বেদখল হয়ে গেছে। সিড স্টোরের পাকা ভবন গায়েব করে দিয়ে প্রভাবশালী মহল ওই জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় কোন সিড স্টোর না থাকায় ওই এলাকার কৃষকেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

সম্প্রতি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এব্যাপারে আলোচনার পর বিষয়টি নজরে এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, ঘোষপুর ইউনিয়নের ধর্মহাটা মৌজায় ভীমপুর বাজারের সংলগ্ন প্রায় ১৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছিল এই সিড স্টোরটি। এখানে সিড স্টোরের পাকা ভবনের হলরুম, গোডাউন ও একজন ব্লক সুপার ভাইজার থাকার কোয়ার্টার ছিল। একজন ব্লক সুপারভাইজারও সেখানে থাকতেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধর্মহাটি মৌজার সিড স্টোরের ওই ভবনের বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নেই। ঘোষপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মজিবর রহমান ওই জমি দখলে নিয়ে কিছু অংশ জুড়ে পাকা বাসভবন নির্মাণ করেছেন। আর অবশিষ্ট জমিতে তিনি বাগান ও একটি দ্বীতল মার্কেট ভবন নির্মাণ করেছেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মজিবুর রহমান সিড স্টোরের পাকা ভবন থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, তাঁর পিতা মরহুম সরদার মোজাম্মেল হোসেনের প্রচেষ্টাতে তাদের জমিতে ওই সিড স্টোর তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘুর্ণিঝড়ে ধ্বসে যাওয়ার পর সেটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, যদি পরবতীতে সিড স্টোর তৈরি করা হয় সেজন্য পাশের ভীমপুর বাজারে তিনি কিছু জমিও দিয়েছেন।
তবে মজিবুর রহমানের দাবি অনুযায়ী ভীমপুর বাজারে সিড স্টোরের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। রাস্তার পাশের কয়েকটি দোকান ঘর দেখিয়ে স্থানীয়রা জানান, এই জমি সিড স্টোরকে দেয়া হয়েছে বলে তারা জেনেছেন। তবে এইসব দোকানীরা কিভাবে ওই জমিতে দোকান ঘর তুলে ব্যবসা করছেন তা তারা জানেননা। আর মজিবর রহমান বলছেন, বাজার মেলানোর স্বার্থে অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব ঘর তুলেছে।

ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন বলেন, তাঁর এলাকাটি কৃষিপ্রধান অঞ্চল। একারণেই এখানে এই সিড স্টোরটি স্থাপন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে, সিড স্টোরটি বিনিময় করা হয়েছে কিন্তু এটি কি করতে পারে কিনা সেটিই প্রশ্ন। এব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সিড স্টোরটি পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সিড স্টোরটির জমি বেদখলে রয়েছে। সম্প্রতি উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবনটি কিভাবে ভেঙ্গে ফেলে জমি দখল করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি জমিও ‘সিড স্টোর’টি ফিরে পেতে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।