ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

একজন সফল লেবু চাষী শহিদুল ইসলাম

পেশায় তিনি প্রাণী অধিদপ্তরের আওতায় কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান হিসেবে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর নাম মো. শহিদুল ইসলাম। করোনাকালীন সময়ে অনেক সময় হাতে ছিল তাঁর। তখন তিনি গৃহপালিত পশুর চিকিৎসার পাশাপাশি বাড়তি টাকা উপার্জন করতে ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে লেবু বাগানের চাষ করা দেখেন। সেখান থেকে উদ্ভূদ্ধ হয়ে তখন তিনি তার দেড় একর জমিতে ১ হাজার পিচ সিডলেস জাতের লেবুর চারা রোপণ করেন। এ জাতের চারা তিনি সংগ্রহ করেন রাজবাড়ি ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে। প্রতি পিচ চারা প্রথমে প্রকার ভেদে একশ থেকে দেড়শ টাকায় ক্র্য় করেন তিনি। সীডলেস লেবুর জাত সর্বাধিক ধরণ ও রস বোধক ফল হিসেবে বিবেচিত । এ জাতের লেবু বারো মাস ফল দিয়ে থাকে।

টেকনিশিয়ান শহিদুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চরবর্ণী গ্রামের মৃত মো. মোফাজ্জেল শেখের ছেলে।

একান্ত সাক্ষাতে সময় তিনি জানান, গত দুই বছর দুই মাস হয়েছে এ সীডলেস লেবুর বাগান তৈরী করা হয়েছে। এ দুই বছরে প্রায় ২২ লাখ টাকার লেবু ও লেবুর চারা বিক্রি করেছি। তাই কেউ যদি স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ের মধ্যে সাবলম্বী হতে চায়, এবং বেকারত্ব দূর করতে চাই, তবে তাকে সীডলেস জাতের লেবুর বাগান করার পরামর্শ দেয়। কেননা ওই বেকার যুবক তাঁর বাগানের পরিচর্যা করে দেখ ভালের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে পারবে। এদিকে টাকাও উপার্জন করতে সক্ষম হবে।

যদি কোন লোক এ লেবুর বাগান করতে আমার কোন প্রকার সহযোগীতা চাই তাকে সকল ধরণে সহযোগীতা করা হবে। আর যারা নতুন ভাবে লেবুর বাগান করতে ইচ্ছুক, তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি তারা যেন একটু দামী চারা ক্রয় করেন। যাতে করে এ লেবু বাগান থেকে এক টানা খরচ বিহীন ১২- ১৫ বছর ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এমন যাতের চারা দিয়ে কেউ বাগান করতে চাইলে তাঁর কাছ থেকে অল্প দাম ৫০ – ৬০ টাকা দরে সীডলেস লেবুর চারা বিক্রি করা হবে, এবং বাগান করতে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। আর লেবুর রসে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি রয়েছে। এটা পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদাও মেটায়। সরকারি সুযোগ সুবিধা বা আর্থিক সহযোগীতা পেলে আরও ব্যাপক পরিসরে বাগান তৈরী করা যেত। এর ফলে বেকার যুবকদের কাজের জায়গা তৈরী হতো।

উপজেলা কৃষিবীদ প্রীতম কুমার হোড় বলেন, সীডলেস লেবুর বাগানটা ঘুরে দেখা হয়েছে। ওই লেবু চাষীকে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ জাতের লেবু চাষে অনেকেই সাবলম্বী হয়েছে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সকল ধরণে সহযোগীতা করেছি। সকল প্রকার কৃষি উদ্যোক্তাদের আমরা বরাবরই ভালো পরামর্শ দিয়ে তাকে সফল করার চেষ্টা করি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

একজন সফল লেবু চাষী শহিদুল ইসলাম

আপডেট টাইম : ০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
এস. এম. রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

পেশায় তিনি প্রাণী অধিদপ্তরের আওতায় কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান হিসেবে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর নাম মো. শহিদুল ইসলাম। করোনাকালীন সময়ে অনেক সময় হাতে ছিল তাঁর। তখন তিনি গৃহপালিত পশুর চিকিৎসার পাশাপাশি বাড়তি টাকা উপার্জন করতে ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে লেবু বাগানের চাষ করা দেখেন। সেখান থেকে উদ্ভূদ্ধ হয়ে তখন তিনি তার দেড় একর জমিতে ১ হাজার পিচ সিডলেস জাতের লেবুর চারা রোপণ করেন। এ জাতের চারা তিনি সংগ্রহ করেন রাজবাড়ি ও কুষ্টিয়া জেলা থেকে। প্রতি পিচ চারা প্রথমে প্রকার ভেদে একশ থেকে দেড়শ টাকায় ক্র্য় করেন তিনি। সীডলেস লেবুর জাত সর্বাধিক ধরণ ও রস বোধক ফল হিসেবে বিবেচিত । এ জাতের লেবু বারো মাস ফল দিয়ে থাকে।

টেকনিশিয়ান শহিদুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চরবর্ণী গ্রামের মৃত মো. মোফাজ্জেল শেখের ছেলে।

একান্ত সাক্ষাতে সময় তিনি জানান, গত দুই বছর দুই মাস হয়েছে এ সীডলেস লেবুর বাগান তৈরী করা হয়েছে। এ দুই বছরে প্রায় ২২ লাখ টাকার লেবু ও লেবুর চারা বিক্রি করেছি। তাই কেউ যদি স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ের মধ্যে সাবলম্বী হতে চায়, এবং বেকারত্ব দূর করতে চাই, তবে তাকে সীডলেস জাতের লেবুর বাগান করার পরামর্শ দেয়। কেননা ওই বেকার যুবক তাঁর বাগানের পরিচর্যা করে দেখ ভালের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে পারবে। এদিকে টাকাও উপার্জন করতে সক্ষম হবে।

যদি কোন লোক এ লেবুর বাগান করতে আমার কোন প্রকার সহযোগীতা চাই তাকে সকল ধরণে সহযোগীতা করা হবে। আর যারা নতুন ভাবে লেবুর বাগান করতে ইচ্ছুক, তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি তারা যেন একটু দামী চারা ক্রয় করেন। যাতে করে এ লেবু বাগান থেকে এক টানা খরচ বিহীন ১২- ১৫ বছর ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এমন যাতের চারা দিয়ে কেউ বাগান করতে চাইলে তাঁর কাছ থেকে অল্প দাম ৫০ – ৬০ টাকা দরে সীডলেস লেবুর চারা বিক্রি করা হবে, এবং বাগান করতে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। আর লেবুর রসে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি রয়েছে। এটা পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদাও মেটায়। সরকারি সুযোগ সুবিধা বা আর্থিক সহযোগীতা পেলে আরও ব্যাপক পরিসরে বাগান তৈরী করা যেত। এর ফলে বেকার যুবকদের কাজের জায়গা তৈরী হতো।

উপজেলা কৃষিবীদ প্রীতম কুমার হোড় বলেন, সীডলেস লেবুর বাগানটা ঘুরে দেখা হয়েছে। ওই লেবু চাষীকে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ জাতের লেবু চাষে অনেকেই সাবলম্বী হয়েছে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সকল ধরণে সহযোগীতা করেছি। সকল প্রকার কৃষি উদ্যোক্তাদের আমরা বরাবরই ভালো পরামর্শ দিয়ে তাকে সফল করার চেষ্টা করি।


প্রিন্ট