মাগুরার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের সজিব (১৩) নামের এক কিশোরকে চুরির অপবাদে পায়ে পেরেক ফুটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারিরীক ভাবে অমানবিক নির্যাতন করেছে স্থানীয় এক পোল্ট্রি ও মুদি ব্যবসায়ী হাসান আলী। সজিব এখন আহত অবস্থায় শালিখা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত সজিবের পিতা কোহিনুর মোল্লা নির্যাতন ঘটনায় মামলা না করলেও শালিখা পুলিশ প্রশাসন ১৫১ ধারায় হাসান আলীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
জানা যায় শুক্রবার ২০ জানুয়ারি জুমার নামাজের পর ছান্দড়া গ্রামের চৌরাস্তার জাফর আলীর পুত্র পোল্ট্রি ও মুদি ব্যবসায়ী হাসান আলী দোকানে যাইয়া দেখতে পায় গ্রামের কোহিনূরের পুত্র কিশোর সজীব হোসেন তার দোকানের ভিতর। এ সময় হাসান চুরির অপবাদ দিয়ে সজিব কে বেদম মারপিট করে।
এ সময় সজিবের হাটু পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় শালিখা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান বলেন, আহত ওই শিক্ষার্থীর পায়ে ও শরীরে একাধিক জায়গায় পেরেক বা লোহার তারকাটা দিয়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সজীবের পিতা কহিনুর মোল্লা বলেন আমার ছেলেকে মারপিটের ঘটনা সত্য। তবে পায়ে পেরেক ফুটায়নি। সে পড়ে যায়ে আহত হয়েছে। হাসন আলী আমার মামাত ভাই তার বিরুদ্ধে মামলা করবো না।
স্থানীয় অনেকে বলেছেন মোটা অংকের টাকা পেয়ে কোহিনুর মামলা থেকে বিরত রয়েছে। শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বিশারুল ইসলাম বলেন আহত সজিবের পিতা বাদী হয়ে মামলা না দেয়ায় শালিখা থানা পুলিশ হাসান আলীকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।
প্রিন্ট