ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ Logo মাদারিপুরে দু’টি বাস-পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬ Logo প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার মজলিস Logo ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিক্ষোভ Logo গোমস্তাপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ Logo বাগাতিপাড়ায় লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল কালো মুখ হনুমানের
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে ফসলি জমি ও পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ও সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাওইখোলা গ্রামে ফসলি জমিসহ পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম এই মাটি বেচে দেওয়ার সর্বনাশা কাণ্ডে মেতেছে। বেচে দেওয়া হচ্ছে ফসলি জমি এমনকি নদের পাড়ের মাটিও। এতে দিনে দিনে যেমন ফসল ফলানোর জায়গা কমে যাচ্ছে,তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে ঘর-বাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর বাওইখোলা এলাকায় রওশান নামে এক ব্যক্তির বাগান ভিটা কেটে মাটি বিক্রি করছেন। রওশান ওই গ্রামের মৃত মইনুদ্দিন এর ছেলে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের কামাল আহম্মেদ মাটি কেটে নেওয়ার এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘর-বাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারি ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসন কে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে এসব মাটি খেকোরা। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা ডোবা জমিতে পরিণত হচ্ছে। আর বিলীন হচ্ছে গ্রাম।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রাম থেকে অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বাগানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে। তাছাড়া ছোট যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলার কারণে তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণের জন্য সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে। আর ট্রলি চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ী তা নষ্ট করে ফেলছে।

এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে ফসলি জমি ও পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক

আপডেট টাইম : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ও সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাওইখোলা গ্রামে ফসলি জমিসহ পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম এই মাটি বেচে দেওয়ার সর্বনাশা কাণ্ডে মেতেছে। বেচে দেওয়া হচ্ছে ফসলি জমি এমনকি নদের পাড়ের মাটিও। এতে দিনে দিনে যেমন ফসল ফলানোর জায়গা কমে যাচ্ছে,তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে ঘর-বাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর বাওইখোলা এলাকায় রওশান নামে এক ব্যক্তির বাগান ভিটা কেটে মাটি বিক্রি করছেন। রওশান ওই গ্রামের মৃত মইনুদ্দিন এর ছেলে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের কামাল আহম্মেদ মাটি কেটে নেওয়ার এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘর-বাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারি ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসন কে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে এসব মাটি খেকোরা। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা ডোবা জমিতে পরিণত হচ্ছে। আর বিলীন হচ্ছে গ্রাম।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রাম থেকে অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বাগানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে। তাছাড়া ছোট যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলার কারণে তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণের জন্য সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে। আর ট্রলি চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ী তা নষ্ট করে ফেলছে।

এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


প্রিন্ট