ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন Logo রাজশাহী রেঞ্জ ও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন গোদাগাড়ী থানার রুহুল আমিন Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে —ডঃ হামিদুর রহমান Logo বায়তুন নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি ওমরাহ পালন: মানবসেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত Logo আলমডাঙ্গার সিঙ্গাপুর প্রবাসী মহেশপুরের সায়ের আলি মারা গেছে Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ‌ অবস্থান কর্মসূচি ‌ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে ফসলি জমি ও পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ও সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাওইখোলা গ্রামে ফসলি জমিসহ পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম এই মাটি বেচে দেওয়ার সর্বনাশা কাণ্ডে মেতেছে। বেচে দেওয়া হচ্ছে ফসলি জমি এমনকি নদের পাড়ের মাটিও। এতে দিনে দিনে যেমন ফসল ফলানোর জায়গা কমে যাচ্ছে,তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে ঘর-বাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর বাওইখোলা এলাকায় রওশান নামে এক ব্যক্তির বাগান ভিটা কেটে মাটি বিক্রি করছেন। রওশান ওই গ্রামের মৃত মইনুদ্দিন এর ছেলে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের কামাল আহম্মেদ মাটি কেটে নেওয়ার এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘর-বাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারি ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসন কে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে এসব মাটি খেকোরা। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা ডোবা জমিতে পরিণত হচ্ছে। আর বিলীন হচ্ছে গ্রাম।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রাম থেকে অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বাগানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে। তাছাড়া ছোট যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলার কারণে তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণের জন্য সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে। আর ট্রলি চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ী তা নষ্ট করে ফেলছে।

এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে ফসলি জমি ও পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক

আপডেট টাইম : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ও সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাওইখোলা গ্রামে ফসলি জমিসহ পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম এই মাটি বেচে দেওয়ার সর্বনাশা কাণ্ডে মেতেছে। বেচে দেওয়া হচ্ছে ফসলি জমি এমনকি নদের পাড়ের মাটিও। এতে দিনে দিনে যেমন ফসল ফলানোর জায়গা কমে যাচ্ছে,তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে ঘর-বাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর বাওইখোলা এলাকায় রওশান নামে এক ব্যক্তির বাগান ভিটা কেটে মাটি বিক্রি করছেন। রওশান ওই গ্রামের মৃত মইনুদ্দিন এর ছেলে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কাঁচা টাকার লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের কামাল আহম্মেদ মাটি কেটে নেওয়ার এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘর-বাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারি ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রশাসন কে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে এসব মাটি খেকোরা। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা ডোবা জমিতে পরিণত হচ্ছে। আর বিলীন হচ্ছে গ্রাম।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রাম থেকে অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বাগানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে। তাছাড়া ছোট যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলার কারণে তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণের জন্য সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে। আর ট্রলি চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ী তা নষ্ট করে ফেলছে।

এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


প্রিন্ট