মুজিববর্ষ উপলক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রাশিদুল ইসলামের মহানুভবতায় তার নিজ গ্রামের বৃহত্তর পাংশা উপজেলার বর্তমান কালুখালীর চর পাতুরিয়া গ্রামের অতিদরিদ্র শাহিদা খাতুন মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল ইসলাম ব্যক্তিগত অর্থায়নে ওই বিধবা পরিবারকে টিউবয়েল, বার্থরুম, রান্নাঘরসহ সুন্দর একটি আধাপাকা টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। বারান্দাসহ ওই ঘরে ২টি কক্ষে সিলিং ফ্যান, বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও সিলিং বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ঘর পেয়ে খুশি মরহুম নিয়ামত আলীর বিধবা স্ত্রী শাহিদা খাতুন।
শনিবার ১৩ ফেব্রæয়ারী বিকেলে শাহিদা খাতুনের হাতে নবনির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি দুই-এক মাস অন্তর গ্রামের বাড়িতে আসি। নাড়ির টানে গ্রামে ফিরে আসি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অতিদরিদ্র ও ভাসমান মানুষের খাদ্য ও মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। বর্তমান সরকার অতিদরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও আশ্রয়হীনদের কল্যাণে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।
এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। রাশিদুল ইসলাম বলেন, ৪বছর আগে দরিদ্র নিয়ামত আলী মারা যান। তার স্ত্রী শাহিদা খাতুনও অসুস্থ। একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে দেখে দুঃখ পান তিনি। বিষয়টি তাকে ভাবিয়ে তোলে। মুজিববর্ষে দরিদ্র এতিম পরিবারের একটি বাসগৃহ নির্মাণ করে দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি।
ব্যক্তিগত দুইলাখ টাকার অনুদানে এতিম পরিবারের ঘর নির্মাণ কাজে দেখভাল করে সহযোগিতা করায় প্রতিবেশী এম.এ কুদ্দুস, শাহজাহান আলী ও ফিরোজ হায়দারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি। রাশিদুল ইসলাম বলেন, ঘর পেয়ে শাহিদা খাতুনের পরিবার যেমন খুশি হয়েছেন, তাদের জন্য কিছু করতে পেরে নিজের কাছেও ভালো লাগছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তিনি। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ও গ্রামবাসী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।