মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের কোমরপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামে গম ক্ষেতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে ৩ জন মারাত্মক ভাবে শারীরিক জখম প্রাপ্ত হয়ে আহত। শুক্রবার ২০ জানুয়ারি অনুমান সময় বেলা ১১ টার সময় কোমরপুর বিলের মাঠে ময়েন মোল্লার (৬৫) গম ক্ষেতে প্রতিবেশী শাহিদার (৩৫) দুইটি ছাগল এসে গম খাচ্ছিলো। গম খাওয়ার এই দৃশ্যটি ময়েন মোল্লার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫০) দেখতে পেয়ে শাহিদার বাড়ি গিয়ে নালিশ করে। তখন শাহিদা খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে রোকেয়ার মাথার চুল থাবা দিয়ে ধরে টানতে টানতে গমের জমিতে যাচ্ছিলো।
এসময় এলাকার স্থানীয় মহিলারা এসে চুলের মুঠি ছাড়ানোর চেষ্টার সময় সাহিদার স্বামী পরিত্যক্ত ছোট বোন ববিতা (২৮) এসে দুই বোন মিলে রোকেয়াকে এলোপাতাড়ি তলপেটে লাথি, কিল মারতে থাকে। তখন রোকেয়ার আত্নচিৎকারে পাশের বাড়ির কাজলী খাতুন, মাহবুব ইসলাম সহ আরও অনেকে ঠেকাতে থাকে।
ঐ দিকে সাহিদার আপন মেজো ভাই দানিরুল ইসলাম (৩০), ছোট ভাই আলামিন (২২) উভয় পিং- আবু সাঈদ, আজাদ শেখ (২৩), পিং- শহীদ শেখ (রুহুল), রোকেয়া বেগমের বাড়ির উঠানে এসে প্রথমে মাজেদুলকে (২৫) বাটাম দিয়ে মারতে থাকে। ঘটনার তুমুল পর্যায়ে দানিরুলের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাজেদুলকে কোপ দিতে গেলে তখন বড় ভাবি মাহফুজা (৩০) দৌড়ে এসে টেকাতে গেলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্য সেই রাম দা দিয়ে তাকে মাথায় এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। রাম দায়ের কোপে মাহফুজার মাথা কেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে এবং মাজেদুলের বাম হাতের রেডিও-আলনার হাড় ভেঙ্গে দেয় ৩ জন মিলে।
স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক ও মেম্বার গোলাম আজমকে ফোন দিলে রোগীদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি আসার আগেই মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মাগুরা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে আশংকাজনক অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। মাহফুজার মাথায় ৯ টি সেলাই, মাজেদুলের বাম হাতে ব্যান্ডেজ ও রোকেয়াকে চিকিৎসা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর বাবুখালী ইউনিয়নে খোঁজ খবর নিলে দানিরুলকে এলাকা বাসীর লোকজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। জানা যায় এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী দানিরুলের থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা রয়েছে। উক্ত সন্ত্রাসীসহ দোষী আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রিন্ট