মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় ছোনপুর (মধ্যে পাড়া) গ্রামের ছোনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে এক গৃহবধূ চাদনী (২৫) কে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী ইদ্রিস খা (৩৪)। শুক্রবার ২০ জানুয়ারি দুপুর ৩ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলার ভিটাশাইর ইসলামবাগ পাড়া গ্রামে মৃত চাঁদনির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
চাঁদনি খাতুনের মা আনোয়ারা বেগম (৪৫) বলেন গতকাল বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারি আনুমানিক সময় বিকাল ৫.৩০ টার সময় ছোনপুর গ্রামের আশরাফুল খা এর বড় ছেলে ইদ্রিস খা আমার মেয়ে চাদনিকে ব্যাপক আকারে মারধর করে হত্যা করেছে। তিনি আরও জানান আমার জামাই ইদ্রিস খা বিয়ের শুরু থেকেই যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত টাকা চাইতো এবং আমার ইসলামবাগ পাড়া গ্রামের বসত বাড়ি নিজের নামে দলিল করার জন্য চাদনিকে প্রায় সময় গালিগালাজ ও মারধর করতো। কিছু দিন পূর্বেও সে এক মেয়েকে নিয়ে ইসলামবাগ পাড়া পার্কে ঘুরতে আসছিলো। মুলত আমাদের সবার কাছে মনে হচ্ছে এই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আমার মেয়ে চাঁদনিকে হত্যা করেছে ইদ্রিস খা।
চাঁদনির পিতা ইমান আলী বিশ্বাস জানান একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও টাকা পয়সার জের ধরে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে পাষন্ড ইদ্রিস খা। আমি আইনের মাধ্যমে এই পাষন্ড ইদ্রিসের সঠিক বিচার চাই। তিনি আরও জানান ঘটনার সময় ইদ্রিস খা সহ তার মা রুব্বান, বোন ও আশরাফুল খা সহ আরও লোকজন উপস্থিত ছিলো।
চাঁদনির বড় মেয়ে ছাওদা (৭) সাংবাদিকের ক্যামেরায় বলে আমার মাকে আমার আব্বা মারধর করেছে।
সরেজমিনে ছোনপুর গ্রামে এসে ইদ্রিস খা এর বাড়িতে দেখা যায় ঘরে তালা মারা, কোন লোকজন নাই। স্থানীয় গ্রামের লোকজনের কাছে গতকালের চাঁদনি হত্যার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে ফাতেমা, জোহরা, রাবিয়া সহ আরও অনেক লোকজন বলেন আমরা ঘটনা শুনেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও কথা কাটাকাটি হয়ে ছিলো। এরই সূত্র ধরে একপর্যায়ে উত্তেজনা বশত ইদ্রিসের মারধর ও বড় রকমের আকস্মিক আঘাতের কারণে চাঁদনির মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদনি হত্যার ঘটনার বিষয়ে মাগুরা সদর থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান জানান গতকাল চাঁদনি ছোনপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছে এবং লাশ পোস্ট মর্টাম করা হয়েছে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেছে বাদীপক্ষ।
প্রিন্ট