খুব শিগগিরই গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের বৈধতার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস। এরই মধ্যে দুই দেশের সংসদে বিল আকারে প্রকাশসহ সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অপেক্ষা ছিল গেজেটের। তবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রিক সরকার এ-সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। ফলে দেশটিতে বসবাসরত প্রায় ১৫ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশি বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ জানান, গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বৈধকরণ করা হবে। শিগগিরই গ্রিস সরকার কর্তৃক অনলাইন প্ল্যাটফরম খুলে দেওয়া হবে। তখন অনিয়মিত বাংলাদেশিরা নিয়মিতকরণের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, অনলাইন প্ল্যাটফরম চালু হলে সেখানে অনিয়মিতভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিরা আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে তাৎক্ষণিকভাবেই বৈধ হয়ে যেতে পারবেন। আবেদন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই আবেদনকারীর ই-মেইলে তার অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট পাঠানো হবে। তবে প্রথম ধাপে দূতাবাসে নাম নিবন্ধন করতে দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট থাকতে হবে। ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে আগমন বা বসবাসের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস এবং আবেদনকারীর নামে নিবন্ধিত একটি মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
এ ছাড়াও একজন চাকরিদাতার নিয়োগপত্র লাগবে। পরে সংশ্লিষ্ট গ্রিক কর্তৃপক্ষ আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে গ্রহণের পর পাঁচ বছরের রেসিডেন্ট কার্ড প্রদান করবে। এসব অভিবাসীরা বৈধ হয়ে সিজনাল শ্রমিক হিসেবে বছরে নয় মাস কাজ করার পরে বাকি তিন মাস নিজ দেশে বাধ্যতামূলক যাতায়াত করতে হবে। চলতি জানুয়ারি মাসেই অনলাইন প্ল্যাটফরম চালু করে আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদী দূতাবাস।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, এটি বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশের মধ্যে প্রথম চুক্তি এবং এই চুক্তির আওতায় গ্রিস প্রতি বছর কৃষি খাতে ৪ হাজার নতুন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে।
প্রিন্ট