ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছিনতাইকৃত ছাত্রদল নেতাসহ ২ জনকে আদালতে প্রেরণ Logo নগরকান্দায় কাদায় পিচ্ছিল সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo গাজায় ইসরায়লি হামলার প্রতিবাদে ভূরুঙ্গামারী ইসলামি যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল Logo খোকসায় শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু সুন্দর নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo রিভার প্রকল্পের তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি Logo উপদেষ্টার নির্দেশনা মানলেন না বিএমডিএ চেয়ারম্যান Logo মধুখালীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্কেল ও কলম উপহার Logo কালুখালীতে নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo নাটোরের বড়াইগ্রামে কলেজ অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেলে স্বামী-শাশুড়ি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মালিগ্রামের মিনা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। নিহত গৃহবধূ বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিহত গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রামে শোবার ঘর থেকে গৃহবধূ মিনা খাতুনকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানায়। একপর্যায়ে গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে রেখে তাঁর স্বামী শামীম রেজা, শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনসহ অন্যরা পালিয়ে যান।

মিনা খাতুনের দুই বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান আছে। পারিবারিকভাবে পাঁচ বছর আগে মিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক দেওয়া হয়। তবে অল্প কয়েক মাস যাওয়ার পর আবার যৌতুকের টাকার জন্য শুরু হয় নির্যাতন। সম্প্রতি মিনাকে বাবার বাড়ি শৈলকূপা থানার সারুটিয়া গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিন-চার মাস আগে দুই পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে মিনাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

নিহত গৃহবধূর বাবা আবদুল মজিদ বলেন, সোমবার দুপুর ১২টার পর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এরপর জানতে পারেন, মিনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে মেয়ের স্বামীসহ পরিবারের লোকেরা মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে গেলে স্বামী-শাশুড়ি

আপডেট টাইম : ১১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার মালিগ্রামের মিনা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে পালিয়ে যান তাঁরা। নিহত গৃহবধূ বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিহত গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মালিগ্রামে শোবার ঘর থেকে গৃহবধূ মিনা খাতুনকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানায়। একপর্যায়ে গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে রেখে তাঁর স্বামী শামীম রেজা, শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনসহ অন্যরা পালিয়ে যান।

মিনা খাতুনের দুই বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান আছে। পারিবারিকভাবে পাঁচ বছর আগে মিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক দেওয়া হয়। তবে অল্প কয়েক মাস যাওয়ার পর আবার যৌতুকের টাকার জন্য শুরু হয় নির্যাতন। সম্প্রতি মিনাকে বাবার বাড়ি শৈলকূপা থানার সারুটিয়া গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিন-চার মাস আগে দুই পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে মিনাকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

নিহত গৃহবধূর বাবা আবদুল মজিদ বলেন, সোমবার দুপুর ১২টার পর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এরপর জানতে পারেন, মিনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে মেয়ের স্বামীসহ পরিবারের লোকেরা মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। তাঁর মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান।


প্রিন্ট