ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছিনতাইকৃত ছাত্রদল নেতাসহ ২ জনকে আদালতে প্রেরণ Logo নগরকান্দায় কাদায় পিচ্ছিল সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo গাজায় ইসরায়লি হামলার প্রতিবাদে ভূরুঙ্গামারী ইসলামি যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল Logo খোকসায় শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু সুন্দর নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo রিভার প্রকল্পের তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি Logo উপদেষ্টার নির্দেশনা মানলেন না বিএমডিএ চেয়ারম্যান Logo মধুখালীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্কেল ও কলম উপহার Logo কালুখালীতে নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo নাটোরের বড়াইগ্রামে কলেজ অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় মাঠে মাঠে পেঁয়াজের চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকেরা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পেঁয়াজের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এখন জমিতে দল বেধে পেঁয়াজের চারা রোপন করছে সালথার চাষিরা। তবে দেশিয় পেঁয়াজের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশি লাগানো হচ্ছে। চাষিরা বলছেন অল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় এই হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশের, শত ভাগের মধ্যে ৫০ভাগ পেঁয়াজের বেশি উৎপাদন হয় সালথা উপজেলায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার সালথা উপজেলার পেঁয়াজ দিয়ে দেশের বড় একটি চাহিদা মেটানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, উপজেলায় দল বেধে একসাথে জমিতে পেঁয়াজের হালি চারা রোপন করছেন। এবার পেঁয়াজের দাম না থাকায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। অন্য সব ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না চাষিরা।

অনিক নামের এক শিক্ষার্থী জানান, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাই অন্যের জমিতে পেঁয়াজ লাগাতে এসেছি। চারশত টাকা হাজিরাতে আমি পেঁয়াজ লাগাতে এসেছি। এই টাকা দিয়ে আমি বই খাতা কিনবো। আমারমতো অনেকেই এসে পেঁয়াজ লাগাচ্ছে।

ভাওয়াল গ্রামের কৃষক মোঃ ফরিদ মোল্লা বলেন, গত বছর আমি ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু গত বছর দাম না পেলেও এ বছরে পেঁয়াজের দাম পাওয়ার আশায় ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। শ্রমিক ঠিকমতো না পাওয়ায় নারী শ্রমিকদের দিয়েও পেঁয়াজ লাগাচ্ছি।

সালথা গ্রামের কৃষক রাম চন্দ্র মন্ডল জানান, গত বছরে পেঁয়াজের তেমন দাম পাইনি। গত বছরের তুলনায় এবার ডিজেল, সার, বীজ ও শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। এবার উৎপাদন খরচও হবে প্রায় দ্বিগুণ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সালথায় ১০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে এই উপজেলাতে। তবে গতবারের উৎপাদিত পেঁয়াজের আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় অনেক কৃষক এবার অন্য ফসলও আবাদ করছেন বলে জানা গেছে। তাই পেঁয়াজের আবাদ এবার তুলনামূলক কম হচ্ছে।

সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) জীবাংশু দাস বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এবার ১০ হাজার ৩শত ৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা পরিমাণে মোট আবাদি জমির ৮০ শতাংশ। তবে এবার পেঁয়াজের পাশাপাশি অনেকে সরিষা ও গমের আবাদ করছেন। আমাদের পক্ষ থেকে এসব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

error: Content is protected !!

সালথায় মাঠে মাঠে পেঁয়াজের চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ১২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পেঁয়াজের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এখন জমিতে দল বেধে পেঁয়াজের চারা রোপন করছে সালথার চাষিরা। তবে দেশিয় পেঁয়াজের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশি লাগানো হচ্ছে। চাষিরা বলছেন অল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় এই হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশের, শত ভাগের মধ্যে ৫০ভাগ পেঁয়াজের বেশি উৎপাদন হয় সালথা উপজেলায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার সালথা উপজেলার পেঁয়াজ দিয়ে দেশের বড় একটি চাহিদা মেটানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, উপজেলায় দল বেধে একসাথে জমিতে পেঁয়াজের হালি চারা রোপন করছেন। এবার পেঁয়াজের দাম না থাকায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। অন্য সব ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না চাষিরা।

অনিক নামের এক শিক্ষার্থী জানান, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাই অন্যের জমিতে পেঁয়াজ লাগাতে এসেছি। চারশত টাকা হাজিরাতে আমি পেঁয়াজ লাগাতে এসেছি। এই টাকা দিয়ে আমি বই খাতা কিনবো। আমারমতো অনেকেই এসে পেঁয়াজ লাগাচ্ছে।

ভাওয়াল গ্রামের কৃষক মোঃ ফরিদ মোল্লা বলেন, গত বছর আমি ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু গত বছর দাম না পেলেও এ বছরে পেঁয়াজের দাম পাওয়ার আশায় ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। শ্রমিক ঠিকমতো না পাওয়ায় নারী শ্রমিকদের দিয়েও পেঁয়াজ লাগাচ্ছি।

সালথা গ্রামের কৃষক রাম চন্দ্র মন্ডল জানান, গত বছরে পেঁয়াজের তেমন দাম পাইনি। গত বছরের তুলনায় এবার ডিজেল, সার, বীজ ও শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি। এবার উৎপাদন খরচও হবে প্রায় দ্বিগুণ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সালথায় ১০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে এই উপজেলাতে। তবে গতবারের উৎপাদিত পেঁয়াজের আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় অনেক কৃষক এবার অন্য ফসলও আবাদ করছেন বলে জানা গেছে। তাই পেঁয়াজের আবাদ এবার তুলনামূলক কম হচ্ছে।

সালথা উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) জীবাংশু দাস বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে এবার ১০ হাজার ৩শত ৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা পরিমাণে মোট আবাদি জমির ৮০ শতাংশ। তবে এবার পেঁয়াজের পাশাপাশি অনেকে সরিষা ও গমের আবাদ করছেন। আমাদের পক্ষ থেকে এসব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


প্রিন্ট