ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মোমিন শেখের স্ত্রী জাহেদাকে (৩০) বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতার আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল রোববার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে।
হাসপাতাল বেডে শুয়ে জাহেদা অভিযোগ করেন, তারা অসহায় দরিদ্র পরিবার। একটি ভিটের উপর কোন রকম বসবাস করছি। প্রতিবেশি কাইউম শেখ আমাদের ভিটেমাটি দখল করার জন্য প্রতি নিয়ত নির্যাতন করে আসছে। গত শুক্রবার বিকেলে কাইউম ও তার পরিবারের মহিলারা বেধড়ক মারপিট করে। পিটানোর সময় আমার মাথা ফেটে গেছে। বুকের উপর উঠে পাড়িয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। ফরিদপুর পাঠাতে চাইলেও টাকার অভাবে ফরিদপুর যেতে পারিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সমকাল প্রতিনিধি শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেন। ফেসবুক স্টাটাসটি নজরে আসার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ রাতেই খোঁজ-খবর নিয়ে অর্থ সহযোগিতা এবং এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোববার জাহেদাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বিষয়টি জানার জন্য রোববার সরেজমিনে গেলে কাইউম শেখ বাড়ি দখল ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, মহিলাদের সাথে ঝগড়াঝাটি হয়েছে। মহিলারা মারতে পারে। তিনি আরও বলেন ওই মহিলা (জাহেদা) খারাপ। লোকজনকে গালিগালাজ করে। আগেও ঝামেলা হয়েছে। সালিশও হয়েছে। এ সময় তিনি সালিশের তিনটি কাগজ দেখান কিন্তু সেখানে সালিশকারীদের নাম থাকলেও সালিশের সিদ্ধান্ত বা বিষয় লেখা নেই। ফাকা সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
মারপিটের ব্যাপারে জাহেদার স্বামী মোমিন শেখ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে এসআই আক্কাস বলেন, তিনি ডিউটি অফিসার থাকাকালীন সময়ে অভিযোগটি দায়ের হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে ওই বিটের অফিসার এসআই কাইউম তদন্ত করছেন।
প্রিন্ট