ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বর্নিচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি (এমএলএস) আজাদ মোল্যাকে (৩৭) দপ্তরি পদ থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু আহাদ মিয়া। সোমবার বিকালে ওই প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আবু আহাদ মিয়া বলেন, সোমবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সানোয়ার করিমকে অফিসে ডেকে এনে বলাৎকারের অভিযোগে স্কুলের দপ্তরিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দপ্তরি পদে আজাদকে নিয়োগ দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি। তাই প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে তাকে বরখাস্ত করার জন্য। প্রধান শিক্ষক সানোয়ার করিম বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
সভায় টিইও স্যার ও ম্যানেজিং কমিটি মিলে যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আনিচুজ্জামান বলেন, ২১ ডিসেম্বর সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডাকা হয়েছে, ওই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর দপ্তরি আজাদ মোল্যা বর্নিচর গ্রামের ১৮ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে বলাৎকার করে বলে অভিযোগ উঠে। এ সময় ওই যুবক কামড়িয়ে আজাদের পুরুষাঙ্গ অনেকটাই ছিড়ে ফেলে। আহত অবস্থায় আজাদকে প্রথমে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে আজাদ ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে এলাকার একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়। দপ্তরি আজাদ মোল্যা একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সানোয়ার করিমের আপন ভাগ্নে।
প্রিন্ট