রিদপুরের সালথায় এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুনীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাহাজ্জত মোল্যা (৩৫) নামে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগি তরুনীর কৃষক বাবা বাদী হয়ে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত বখাটে তাহাজ্জত মোল্যা সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মৃত মোকছেদ মোল্যার ছেলে। মামলার পর থেকে ওই বখাটে পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, অভিযুক্ত তাহাজ্জত মোল্যা দুটি বিয়ে করেন। তবে দুই স্ত্রীকেই তালাক দিয়েছেন তিনি। তার প্রথম স্ত্রীর একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। সন্তান দুই জনই থাকে দাদির কাছে। তাহাজ্জত অলস টাইপের লোক, সে কোনো কাজকর্ম করে না। এলাকায় বেকার ঘুরে বেড়ায়। তিনি নানা অপরাধের সঙ্গেও জড়িত বলে জানা গেছে।
নির্যাতিত ওই তরুনীর বাবা জানান, তার মেয়ে জন্মের পর থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। এমন অবস্থায় উপযুক্ত বয়স হওয়ার পর গত দুই বছর আগে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তার এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। তবে ৪-৫ মাস আগে তাকে তালাক দেয় তার স্বামী। এরপর থেকে সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকেন ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুনী।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী তার সন্তানের জন্য চকলেট কিনতে স্থানীয় একটি দোকানে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত তাহাজ্জত মোল্যা তাকে ঝাপটে ধরে তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায় ওই তরুণীকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এতে সে আহতও হয়। পরে তার গোঙ্গানীর শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাহাজ্জত পালিয়ে যায়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, রবিবার রাতে ঘটনার পরপরই ওই তরুণী ও তার পরিবার থানায় এসেছিল। সোমবার সকালে ভুক্তভোগির তরুণীর বাবা বাদী হয়ে তাহাজ্জত নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযুক্ত যুবককে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।