ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোপালগঞ্জে সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ Logo রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক দুর্গাপুর উপজেলা নতুন কমিটি ঘোষণা Logo দিনাজপুরে ৬০০ পিচ ইয়াবা সহ ২ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার Logo বাঘায় বিদুৎস্পর্শে এক নারীর মৃত্যু ! Logo কুষ্টিয়ায় সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ, কারাগারে দেবর Logo ভেড়ামারায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo যশোরে ভালো কাজে পুরস্কৃত হলেন পুলিশ সদস্য সোহেল রানা Logo সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান দুই ভাইয়ের সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ Logo যশোর জেলা স্কুলে দশতলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo যশোর এম এম কলেজে শিক্ষক পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর ও অভিষেক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মধুখালীতে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

-ফরিদপুরে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি। -ছবিঃ ফরিদপুরের মধুখালী থেকে সাগর চক্রবর্তী।

রাতের কুয়াচ্ছন্ন আকাশ আর রাতে শীতের আভাস নিয়ে এসেছে প্রকৃতিতে শীতের বার্তা। শীতের এই বার্তায় ফরিদপুরের গাছিরা ব্যস্ত খেজুরের রস আহরণে খেজুর গাছ তৈরী করতে।
মধুখালী উপজেলার মেছড়দিয়া পূর্বপাড়া সড়কের ধারে গাছিরা হাতে গাছকাটা ছ্যান নিয়ে ও কোমরের সাথে গাছে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচা-ছোলার কাজ শুরু করেছেন।

শীত মৌসুম এলেই এ জেলায় সর্বত্র শীত উদযাপনের নতুন আয়োজন শুরু হয়। খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ এলাকার গাছিরা। তাদের মুখে ফুটে ওঠে রসালো হাসি। শীতের দিন মানেই খেজুর রস ও নলেন গুড়ের মৌ-মৌ গন্ধ। খেজুর গুড় বাঙালির সংস্কৃতির একটা অঙ্গ। নলেন গুড় ছাড়া আমাদের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যায় না। মেছড়দিয়া এলাকার গাছিরা জানান, গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

রস থেকে গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ ফাল্গুন পর্যন্ত। হেমন্তের প্রথমে বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও গুড়। তাই অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি। এছাড়াও খেজুর গাছের রস হতে উৎপাদিত গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান গাছিরা।কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, জেলায় প্রচুর পরিমাণ খেজুর গাছ আছে। এর মধ্যে কামারখালী, মেগচামী, নওপাড়া, বাগাট ও ব্যাসদী গ্রাম এলাকাতে বেশি সংখ্যক গাছ রয়েছে।

অনেকে আগাম গাছ প্রস্তুত করায় বাজারে কিছু গুরও পাওয়া যাচ্ছে। গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে নলেন গুড় ও পাটালি গুড় তৈরি করে নিকটস্থ বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হন। বর্তমানে খেজুর গুড়ের চাহিদা বেশী যার কারণে গাছিরা এদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে ঠিক তেমনি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে।

বেশী লাভের আশায় অসাধু গুড় ব্যবসায়ী কৃত্রিম গুড় তৈরী করে ক্রেতা সাধারনের সাথে প্রতারনা করেন। নিজেরা লভবান হন প্রতারনা আর ভেজাল গুড়ে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলান। ভেজাল প্রতিরোধে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন সুধী মহল।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে সড়কের মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ

error: Content is protected !!

মধুখালীতে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

আপডেট টাইম : ০২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
সাগর চক্রবর্ত্তী, মধুখালী (ফরিদপুর ) প্রতিনিধিঃ :

রাতের কুয়াচ্ছন্ন আকাশ আর রাতে শীতের আভাস নিয়ে এসেছে প্রকৃতিতে শীতের বার্তা। শীতের এই বার্তায় ফরিদপুরের গাছিরা ব্যস্ত খেজুরের রস আহরণে খেজুর গাছ তৈরী করতে।
মধুখালী উপজেলার মেছড়দিয়া পূর্বপাড়া সড়কের ধারে গাছিরা হাতে গাছকাটা ছ্যান নিয়ে ও কোমরের সাথে গাছে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচা-ছোলার কাজ শুরু করেছেন।

শীত মৌসুম এলেই এ জেলায় সর্বত্র শীত উদযাপনের নতুন আয়োজন শুরু হয়। খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ এলাকার গাছিরা। তাদের মুখে ফুটে ওঠে রসালো হাসি। শীতের দিন মানেই খেজুর রস ও নলেন গুড়ের মৌ-মৌ গন্ধ। খেজুর গুড় বাঙালির সংস্কৃতির একটা অঙ্গ। নলেন গুড় ছাড়া আমাদের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যায় না। মেছড়দিয়া এলাকার গাছিরা জানান, গাছ থেকে রস সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

রস থেকে গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ ফাল্গুন পর্যন্ত। হেমন্তের প্রথমে বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও গুড়। তাই অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি। এছাড়াও খেজুর গাছের রস হতে উৎপাদিত গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান গাছিরা।কৃষি অফিসার আলভীর রহমান বলেন, জেলায় প্রচুর পরিমাণ খেজুর গাছ আছে। এর মধ্যে কামারখালী, মেগচামী, নওপাড়া, বাগাট ও ব্যাসদী গ্রাম এলাকাতে বেশি সংখ্যক গাছ রয়েছে।

অনেকে আগাম গাছ প্রস্তুত করায় বাজারে কিছু গুরও পাওয়া যাচ্ছে। গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে নলেন গুড় ও পাটালি গুড় তৈরি করে নিকটস্থ বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হন। বর্তমানে খেজুর গুড়ের চাহিদা বেশী যার কারণে গাছিরা এদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে ঠিক তেমনি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে।

বেশী লাভের আশায় অসাধু গুড় ব্যবসায়ী কৃত্রিম গুড় তৈরী করে ক্রেতা সাধারনের সাথে প্রতারনা করেন। নিজেরা লভবান হন প্রতারনা আর ভেজাল গুড়ে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলান। ভেজাল প্রতিরোধে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন সুধী মহল।


প্রিন্ট