মাগুরা শালিখা ধনেশ্বরগাতি ইউনিয়নের শিংড়া আশ্রয়ন পল্লিতে হিন্দু-মুসলিমের প্রেমের সম্পর্কের জেরে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ২৯ নভেম্বর রাত অনুমান ২ টার সময় ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের মৃত আব্দুল খালেক চৌকিদারের মেয়ে লাখি খাতুনকে (২৬) দীর্ঘ দিন প্রেম নিবেদন করে আসছে প্রতিবেশি কেতু নরসুন্দরের ছেলে সেতু নাপিত (২৮)। এক পর্যায় লাখিকে বিভিন্ন সময়ে শারীরীক সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিষ বৈঠক হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ২ টার সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা চলাকালে আশ্রয়ন প্রকল্পে বড় টিভিতে খেলা দেখায় মগ্ন ছিলো আশ্রয়নের লোকজন। এদিকে লম্পট সেতু নাপিত ঐ রাতেই লাখির ঘরে যায়। এসময় আশ্রয়নের কয়েকজন তাদের হাতে নাতে ঘরের মধ্যে থেকে ধরে নিয়ে উত্তম মাধ্যম দিয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় পাঠায়।
এবিষয়টি নিয়ে এলাকায় সকালে হৈ চৈ পড়ে যায়। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা মাগুরার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে এর সত্যতা নিশ্চিত হন। তবে অপর এক সুত্রে জানা গেছে মেয়েকে মোটা অঙ্কের হাজার টাকার বিনিময়ে দফারফা হয়েছে এবং ছেলে মেয়ে উভয়ে এলাকা থেকে ধামাচাপা দিতে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সেতু নাপিতের মা বলেন, লাখী আমার ছেলে সেতুকে গভীর রাতে ডেকে নিয়ে তার ঘরে যায় আর সেতু নাপিতের ঘরে আছে বৌ ও ১ ছেলে।
পল্লী আশ্রয়ণের মাতব্বরের বৌ জানান, লাখীর সাথে সম্পর্ক সেতুর ১৫-১৬ বছর এর আগেও ৪-৫ বার ধরা খেয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে, আমরা এর সুবিচার চাই। এ বিষয় নিয়ে পাশ্ববর্তী নাঘোষা গ্রামের ১ জন লোক মোবাইল ফোনে মামলা দিয়ে হুমকি প্রদান করেছে সাংবাদিকদের আর সেই সাথে সেতু ও লাখীর হয়ে সুপারিশ করেছে আরও ২ জন সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে।
প্রিন্ট