রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির কাজিয়ালপাড়া গ্রামের দরিদ্র ভূমিহীন ফজলুর রহমানের নামে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু এ ঘরের জন্য ইউপি মেম্বার নাসির উদ্দিন গাজীকে দিতে হয়েছে নগদ ২৮ হাজার ৫শত টাকা।
এছাড়া ঘরের জন্য ১০ ব্যাগ সিমেন্ট, ২শত ইট, বাড়িতে মালামাল আনার জন্য ভ্যান ভাড়াসহ অন্যন্য জিনিসপত্র ক্রয়ে অন্তত ৩০ হাজার টাকা গুণতে হয়েছে। এ পর্যন্ত সবমিলে ঘরের জন্য ফজলুর রহমানের খরচ করতে হয়েছে ৫৮হাজার ৫শত টাকা। এরপর আরও ১হাজার ৫শত টাকা দাবী করায় বিপত্তি ঘটে। জানাজানি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার বিকেলে সরজমিন কাজিয়ালপাড়া গ্রামে গেলে তথ্য নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী দরিদ্র পরিবারের ফজলুর রহমান বিশ্বাস ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম। ফজলুর রহমান জানান, সরকারী ঘরের বরাদ্দের জন্য ইউপি মেম্বার নাসির উদ্দিন গাজী তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। এতো টাকা দিতে পারবেন না তবে ঘর হলে ইউপি মেম্বারকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য অল্প কিছু টাকা দিবেন বলে ইউপি মেম্বারকে প্রতিশ্রæতি দেন ফজলুর রহমান। কিন্তু প্রথমে ২৮ হাজার ৫শত টাকা দিতে বাধ্য করেন ইউপি মেম্বার। এরপর ফজলুর রহমানকে দিয়ে পর্যায়ক্রমে ইট, সিমেন্ট ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাবদ ৩০ হাজার টাকা খরচ করান ইউপি মেম্বার নাসির উদ্দিন গাজী।
ঘটনা জানার পর রবিবার সকালে মৌরাট ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান প্রামানিক ফজলুর রহমানের বাড়িতে যান এবং ঘর বাবদ ইউপি মেম্বারকে নগদ টাকা প্রদান ও ইট-সিমেন্ট ক্রয়সহ অন্যান্য খরচের বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত হন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান প্রামানিক ভুক্তভোগী দরিদ্র ফজলুর রহমানের পরিবারকে ইউপি মেম্বারের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাওয়ার পরামর্শ দেন এবং নিজ দায়িত্বে ঘর নির্মাণের বাকি কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তিনি। ভুক্তভোগী ফজলুর রহমান বিশ্বাস প্রতিকারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গতঃ মুজিব জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পাংশা উপজেলায় ১শ’টি ঘরের বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১লাখ ৭১ হাজার টাকা।