ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক Logo নাটোরের চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিস্কুট, শরবত, বিতারন করছেন পরিবেশ কর্মীরা Logo কালুখালীতে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেফতার Logo বাওড়ে গোসলে নেমে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বে Logo কুমারখালীর সেই ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করলো বন বিভাগ Logo খোকসায় উপজেলা ক্যাম্পাসে বন বিভাগের গেট ভেঙ্গে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু Logo দৌলতপুরে ৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ২ Logo সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরে নারী চিকিৎসককে হয়রানি করে কারাগারে যুবক
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে চলছে দানা পেয়াজের চাষঃ পরামর্শ ও পরিদশর্নে কৃষি কর্মকর্তারা

ফরিদপুরে পেয়াজের দানা বা বীজ উৎপদানের জন্য মাঠে রোপন করছে পেয়াজ। পেয়াজ রোপনে চাষীদের নানান পরামর্শ দিতে ও পরিদর্শনে মাঠি গিয়েছিলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের মাঠে দেখা যায় এমন চিত্র। পেয়াজের পাশাপাশি পেয়াজ বীজ উৎপাদন করতে মাঠ প্রস্তুত করছে কৃষক। সেখানে পেয়াজ রোপন করছে চাষীরা। সকাল থেকে দলবেঁধে শ্রমিকরা মাটিতে সেই পেয়াজ রোপন করে। কালো সোনা নামে খ্যাত পেয়াজের বীজ উৎপাদন দেখতে ও নানা পরামর্শ দিতে মাঠে গিয়েছিলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ। মাটিতে পরিমান মত সার, ওষুধ প্রয়োগ করা, জৈব সার বেশি ব্যবহার করাসহ মাটির আদ্রতা অনুযায়ী সেচ দেবার পরামর্শ দেন তারা।
এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ জেলার ও দেশের সফল পেয়াজ বীজ চাষী সাহিদা বেগমের পেয়াজ রোপন ও ক্ষেত পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ঐ মাঠের রোপনকৃত পেয়াজ ক্ষেত ঘুরে দেখেন তারা।
পেয়াজের বীজ চাষী সাহিদা বেগম বলেন, তিনি এবছর ২৫একর জমিতে দানা পেয়াজ রোপন করছেন। এছাড়াো ঠাকুরগাও জেলায় ৪০ একর জমিতে এই দানা পেয়াজ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তারা মাঠগুলাতে পেয়াজ রোপন শেষের দিকে। এই সব জমি থেকে তিনি ৫’শ মন বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন। যদিও এবছর পাশের দেশ থেকে বীজ আসায় তারা দাম কম পেয়েছে। তবে আগামীতে দেশের পেয়াজ বীজ দিয়ে তারা চাহিদা পুরন করার আশা করছেন। বাইট- সাহিদা বেগম, সফল পেয়াজের বীজ চাষী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ জিয়াউল হক বলেন, জেলার মাটি ও আবহাওয়া পেয়াজ চাষের উপযোগী। তাই ব্যাপক পরিমান পেয়াজ বীজ উৎপাদন হয় এ জেলাতে।তাদের আধুনিক চাষ প্রনালী সম্পর্কে কৃষিবিভাগ  নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে। ক্ষেত পরিদর্শ করে তাদের অবস্থা জানার চেষ্টা করে সার, ওষুধ, কীটনাশক ব্যবহার বিধিসহ  কারিগরি সহযোগীতা দিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান। সিংক- মোঃ জিয়াউল হক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক। এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম হাসিবুল হাসান, ফিল্ড কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন। ।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মধুখালীর ডুমাইন চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেয়া হবে – জেলা প্রশাসক

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে চলছে দানা পেয়াজের চাষঃ পরামর্শ ও পরিদশর্নে কৃষি কর্মকর্তারা

আপডেট টাইম : ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
ফরিদপুরে পেয়াজের দানা বা বীজ উৎপদানের জন্য মাঠে রোপন করছে পেয়াজ। পেয়াজ রোপনে চাষীদের নানান পরামর্শ দিতে ও পরিদর্শনে মাঠি গিয়েছিলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের মাঠে দেখা যায় এমন চিত্র। পেয়াজের পাশাপাশি পেয়াজ বীজ উৎপাদন করতে মাঠ প্রস্তুত করছে কৃষক। সেখানে পেয়াজ রোপন করছে চাষীরা। সকাল থেকে দলবেঁধে শ্রমিকরা মাটিতে সেই পেয়াজ রোপন করে। কালো সোনা নামে খ্যাত পেয়াজের বীজ উৎপাদন দেখতে ও নানা পরামর্শ দিতে মাঠে গিয়েছিলেন জেলার কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ। মাটিতে পরিমান মত সার, ওষুধ প্রয়োগ করা, জৈব সার বেশি ব্যবহার করাসহ মাটির আদ্রতা অনুযায়ী সেচ দেবার পরামর্শ দেন তারা।
এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ জেলার ও দেশের সফল পেয়াজ বীজ চাষী সাহিদা বেগমের পেয়াজ রোপন ও ক্ষেত পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি ঐ মাঠের রোপনকৃত পেয়াজ ক্ষেত ঘুরে দেখেন তারা।
পেয়াজের বীজ চাষী সাহিদা বেগম বলেন, তিনি এবছর ২৫একর জমিতে দানা পেয়াজ রোপন করছেন। এছাড়াো ঠাকুরগাও জেলায় ৪০ একর জমিতে এই দানা পেয়াজ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তারা মাঠগুলাতে পেয়াজ রোপন শেষের দিকে। এই সব জমি থেকে তিনি ৫’শ মন বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন। যদিও এবছর পাশের দেশ থেকে বীজ আসায় তারা দাম কম পেয়েছে। তবে আগামীতে দেশের পেয়াজ বীজ দিয়ে তারা চাহিদা পুরন করার আশা করছেন। বাইট- সাহিদা বেগম, সফল পেয়াজের বীজ চাষী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ জিয়াউল হক বলেন, জেলার মাটি ও আবহাওয়া পেয়াজ চাষের উপযোগী। তাই ব্যাপক পরিমান পেয়াজ বীজ উৎপাদন হয় এ জেলাতে।তাদের আধুনিক চাষ প্রনালী সম্পর্কে কৃষিবিভাগ  নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে। ক্ষেত পরিদর্শ করে তাদের অবস্থা জানার চেষ্টা করে সার, ওষুধ, কীটনাশক ব্যবহার বিধিসহ  কারিগরি সহযোগীতা দিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান। সিংক- মোঃ জিয়াউল হক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক। এসময় মাঠে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম হাসিবুল হাসান, ফিল্ড কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন। ।