ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজাপুরে বাজুসের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo হলদিয়া গুরুদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা Logo রাজাপুরে বাজুসের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo বাগাতিপাড়ায় নবাগত ইউএনওর সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo তানোরে যাঁতাকল শিল্প বিলুপ্তপ্রায় Logo ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা Logo নোয়াখালী চাটখিলে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে হত্যার হুমকি Logo খোকসায় ১ম হওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও সকল এ+ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে জীবন চলছে লুৎফর রহমানের

হাওয়াই মিঠাই ‌ এই শব্দটার সাথে বাঙালি অত্যন্ত পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে হাওয়াই মিঠাই শব্দটা বাংলা সাহিত্য ওতপ্রোত ভাবে মিশে গেছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা লুৎফর রহমানের সাথে।
 তিনি বর্তমানে গোয়ালচামোটের ‌ ১ নম্বর  সড়কের বক্কারের বাড়িতে  ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলাতে । তিনি জানান, এ জেলায়  হাওয়াই মিঠাই  চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। আগে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি ভালো হলেও ইদানিং শহরের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।
বর্তমানে তিনি জেলা প্রশাসন স্কুল, সানরাইজ  স্কুল রেইনবো স্কুল, শিল্পকলা একাডেমীর সামনে নিয়মিতভাবে দোকান করে থাকেন এছাড়া শ্রী অঙ্গনে ‌ মাঝে মাঝে বেচাকেনা করেন।
 তিনি জানান বিশেষ করে শিশু রাই এর প্রধান ভক্ত  । পাশাপাশি অনেক লোক বিভিন্ন বয়সী মুরব্বিরাও এই খাবারটি পছন্দ করেন।
 মুখে দেওয়া মাত্রই এই খাবারটি গলে যায় যে কারণে অনেকের কাছে এই খাবারটি আশ্চর্যজনক।
 তবে হাই মিঠাই কতদিন ধরে শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ কবে আসলো এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি। লুৎফর রহমান জানান ‌ তার কাছে মোট দুই রকম হয় হাওয়াই মিঠাই  বিক্রি হয় একটি সাদা অপবর্তি গোলাপী ।এরমধ্যে  সাদা রংয়ের হয় মিঠাই চাহিদা বেশি থাকলেও গোলাপি রঙের মিঠাই ভালোই বিক্রি হয়।
তিনি প্রত্যাশা করেন যদি সরকার থেকে সহজ শর্তে তাকে লোন পাওয়ার ব্যবস্থা করতেন তাহলে তিনি ব্যবসাটাকে বড় করতে পারতেন। এছাড়া রাস্তার পাশে ছোট একটা জায়গা দিলেও তিনি ব্যবসাটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন। একই সাথে তার ব্যবসার ও প্রসার ঘটাতে পারতেন।
তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা  এক ছেলে আছে। হাওয়াই মিঠাই  বিক্রি করে তিনি অতি কষ্টেই  জীবন অতিবাহিত করছেন। এবং চেষ্টা করছেন ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত হওয়ার।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজাপুরে বাজুসের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

error: Content is protected !!

হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে জীবন চলছে লুৎফর রহমানের

আপডেট টাইম : ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ :
হাওয়াই মিঠাই ‌ এই শব্দটার সাথে বাঙালি অত্যন্ত পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে হাওয়াই মিঠাই শব্দটা বাংলা সাহিত্য ওতপ্রোত ভাবে মিশে গেছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা লুৎফর রহমানের সাথে।
 তিনি বর্তমানে গোয়ালচামোটের ‌ ১ নম্বর  সড়কের বক্কারের বাড়িতে  ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলাতে । তিনি জানান, এ জেলায়  হাওয়াই মিঠাই  চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। আগে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি ভালো হলেও ইদানিং শহরের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।
বর্তমানে তিনি জেলা প্রশাসন স্কুল, সানরাইজ  স্কুল রেইনবো স্কুল, শিল্পকলা একাডেমীর সামনে নিয়মিতভাবে দোকান করে থাকেন এছাড়া শ্রী অঙ্গনে ‌ মাঝে মাঝে বেচাকেনা করেন।
 তিনি জানান বিশেষ করে শিশু রাই এর প্রধান ভক্ত  । পাশাপাশি অনেক লোক বিভিন্ন বয়সী মুরব্বিরাও এই খাবারটি পছন্দ করেন।
 মুখে দেওয়া মাত্রই এই খাবারটি গলে যায় যে কারণে অনেকের কাছে এই খাবারটি আশ্চর্যজনক।
 তবে হাই মিঠাই কতদিন ধরে শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ কবে আসলো এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি। লুৎফর রহমান জানান ‌ তার কাছে মোট দুই রকম হয় হাওয়াই মিঠাই  বিক্রি হয় একটি সাদা অপবর্তি গোলাপী ।এরমধ্যে  সাদা রংয়ের হয় মিঠাই চাহিদা বেশি থাকলেও গোলাপি রঙের মিঠাই ভালোই বিক্রি হয়।
তিনি প্রত্যাশা করেন যদি সরকার থেকে সহজ শর্তে তাকে লোন পাওয়ার ব্যবস্থা করতেন তাহলে তিনি ব্যবসাটাকে বড় করতে পারতেন। এছাড়া রাস্তার পাশে ছোট একটা জায়গা দিলেও তিনি ব্যবসাটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন। একই সাথে তার ব্যবসার ও প্রসার ঘটাতে পারতেন।
তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা  এক ছেলে আছে। হাওয়াই মিঠাই  বিক্রি করে তিনি অতি কষ্টেই  জীবন অতিবাহিত করছেন। এবং চেষ্টা করছেন ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত হওয়ার।

প্রিন্ট