মাগুরার মহম্মদপুরের বড়রিয়া গ্রামের আবু বক্কার শেখ (৫৫) হত্যা মামলার এক পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মাছুদুর রহমান (৩৫)। শুক্রবার গভীর রাতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার নহাটা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মাছুদুর রহমান স্থানীয় ধোয়াইল গ্রামের মৃত: আব্দুর রহমানের ছেলে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মামলার পর গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিনধরে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত ২ অক্টোবর ভোরে মারা যান আবু বক্কার শেখ। এরপর তার লাশ দাফন করা হয়।
মামলার বাদি সিজান মাহমুদ সাগর জানান, বাবার লাশ দাফনের পর বিশ^স্ত কয়েকজনের কাছে পিতার মারা যাওয়ার রহস্য জানতে পারেন। বক্কার শেখ মারা যাওয়ার ১০ দিন পর গত ১১ অক্টোবর তিনি মাগুরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাদির মায়ের কথিত প্রেমিক রকিবুল ইসলাম হিরককে প্রধান আসামী করা হয়েছে। ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে তার মা সিমা পারভীনকে। ৫ নম্বর আসামী করেছেন আপন মামা মাছুদুর রহমানকে।
এই মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রয়েছে আরও ৪/৫ জন। ১২ অক্টোবর মাগুরার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন। গত ১৩ অক্টোবর মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড হয়। মামলা নম্বর-১০। ধারা : ৩০২/৩৪।
আবু বক্কার শেখের মৃত্যুর ১০ দিন পর তার ছেলে সিজাদ মাহমুদ সাগর গত ১১ অক্টোবর তিনি মাগুরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ১২ অক্টোবর মাগুরার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন। গত ১৩ অক্টোবর মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড হয়।
|
গত ৯ নভেম্বর কবর খুড়ে তার লাশ উত্তোলন করে মর্গে পেরণ করে স্থানীয় পুলিশ। মামলা রুজুর শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার নহাটা গ্রাম আসামী মাছুদুর রহমনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রিন্ট