ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পুড়েছে বয়স্ক ভাতার কার্ড

শৈলকুপায় ঝাউদিয়ায় অগ্নিকান্ড নিঃস্ব ভূমিহীন ৯ পরিবার

ঝিনাইদহে শৈলকুপার ঝাউদিয়ায় ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে অগ্নিকাÐে ১৮ নম্বর ব্যারাকের ১০টি ঘরের মধ্যে ৯টি ঘরই পুড়ে ছাই। অগ্নিকান্ড শেষ সম্বল হারিয়ে ছোট ছোট ২ ছেলে আর ২মেয়ে নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে চেয়ে জীবন ধারণ করা বিধবা হাসিনা ও সন্তানদের কান্না যেন থামছেই না।

পরিবারটির সবাই প্রতিবন্ধী, কেউ মানসিক, শারীরিক আবার কেউ বাক প্রতিবন্ধী। গতকাল শনিবার সকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পে আগুনে পুড়েছে তাদের সব। শুধু হাসিনা নয় ঝাউদিয়া ভূমিহীন আবাসনের ১৮ নম্বর ব্যারাকে থাকা ৯টি পরিবারের ১০টি ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে।

এদের কেউ দিনমুজুর, কেউ শ্রমিক কেউ বা পরের বাড়িতে কাজ করে। আগুনে এদের চাল-ডাল, থালা-বাটি, কাঁথা-বালিশ, শুয়ে থাকার চকি, শীতের জামা-কাপড় সবই পুড়েছে। সব হারিয়ে নিষ্পলক চেয়ে আছে ১০টি পরিবারের শিশু-কিশোর আর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মানুষগুলো। সন্ধা লাগলেই তারা কি খাবে, কি পরবে, কিভাবে থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা দেখা যায়নি।

সরেজমিনে এমন এক করুণ দৃশ্য দেখা গেছে। প্রায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা সালেহা বেগম কে দেখা গেল নিষ্পলক চেয়ে আছে। তার বয়স্ক ভাতার কার্ড টি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় যেন নির্বাক। মৃত বদর উদ্দিনের স্ত্রী সালেহা ছেলে-মেয়েদের তিনি থাকেন এই আবাসনে। ৩ মাস পরপর ১৫শ’ করে টাকা পেতেন, যা দিয়ে চলত তার দিন।

এভাবে আবাসনের আসমানি, বাসেতুল মন্ডল, সালাম শেখ, রইচ উদ্দিন সহ ৯টি পরিবারের যাপিত-জীবন যেন হঠাৎই থেমে গেছে। পরিবারগুলোর বেশিরভাগই দিনমুজুর আর শ্রমিক। আগুনে তাদের ঘরের চাল-ডাল, শীতবস্ত্র, পোষাক-পরিচ্ছেদ, আসবাব সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু পুড়ে গেছে। কারো ঘরেই কিছু নেই, পড়ে আছে আবাসনের টিনশেড ঘরের কাঠামোগুলো। তবে আগুনে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

পুড়েছে বয়স্ক ভাতার কার্ড

শৈলকুপায় ঝাউদিয়ায় অগ্নিকান্ড নিঃস্ব ভূমিহীন ৯ পরিবার

আপডেট টাইম : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক :

ঝিনাইদহে শৈলকুপার ঝাউদিয়ায় ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে অগ্নিকাÐে ১৮ নম্বর ব্যারাকের ১০টি ঘরের মধ্যে ৯টি ঘরই পুড়ে ছাই। অগ্নিকান্ড শেষ সম্বল হারিয়ে ছোট ছোট ২ ছেলে আর ২মেয়ে নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে চেয়ে জীবন ধারণ করা বিধবা হাসিনা ও সন্তানদের কান্না যেন থামছেই না।

পরিবারটির সবাই প্রতিবন্ধী, কেউ মানসিক, শারীরিক আবার কেউ বাক প্রতিবন্ধী। গতকাল শনিবার সকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পে আগুনে পুড়েছে তাদের সব। শুধু হাসিনা নয় ঝাউদিয়া ভূমিহীন আবাসনের ১৮ নম্বর ব্যারাকে থাকা ৯টি পরিবারের ১০টি ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে।

এদের কেউ দিনমুজুর, কেউ শ্রমিক কেউ বা পরের বাড়িতে কাজ করে। আগুনে এদের চাল-ডাল, থালা-বাটি, কাঁথা-বালিশ, শুয়ে থাকার চকি, শীতের জামা-কাপড় সবই পুড়েছে। সব হারিয়ে নিষ্পলক চেয়ে আছে ১০টি পরিবারের শিশু-কিশোর আর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মানুষগুলো। সন্ধা লাগলেই তারা কি খাবে, কি পরবে, কিভাবে থাকবে তার কোনও নিশ্চয়তা দেখা যায়নি।

সরেজমিনে এমন এক করুণ দৃশ্য দেখা গেছে। প্রায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা সালেহা বেগম কে দেখা গেল নিষ্পলক চেয়ে আছে। তার বয়স্ক ভাতার কার্ড টি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় যেন নির্বাক। মৃত বদর উদ্দিনের স্ত্রী সালেহা ছেলে-মেয়েদের তিনি থাকেন এই আবাসনে। ৩ মাস পরপর ১৫শ’ করে টাকা পেতেন, যা দিয়ে চলত তার দিন।

এভাবে আবাসনের আসমানি, বাসেতুল মন্ডল, সালাম শেখ, রইচ উদ্দিন সহ ৯টি পরিবারের যাপিত-জীবন যেন হঠাৎই থেমে গেছে। পরিবারগুলোর বেশিরভাগই দিনমুজুর আর শ্রমিক। আগুনে তাদের ঘরের চাল-ডাল, শীতবস্ত্র, পোষাক-পরিচ্ছেদ, আসবাব সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু পুড়ে গেছে। কারো ঘরেই কিছু নেই, পড়ে আছে আবাসনের টিনশেড ঘরের কাঠামোগুলো। তবে আগুনে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

 


প্রিন্ট