কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদর্রেছীন মাগুরা জেলা শাখার আয়োজন মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সোমবার ১৪ নভেম্বর সকাল ১০টার সময় মানববন্ধন শুরু হয়, শহরের ভায়না মোড় থেকে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন করেন তারা।এতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শতশত শিক্ষকেরা অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে মাগুরা জেলা প্রশাসক ডঃ আশরাফুল আলমের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে তারা ২০২৩ সাল থেকে এনসিটিবি স্কুল ও মাদরাসায় একিভূত শিক্ষাকার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে।
সেখানে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, সামাজ বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সাংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বই স্কুল-মাদরাসায় বাধ্যতামূলক ভাবে পড়াতে হবে।সেখানে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ এ বর্ণিত স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য উপেক্ষা করে রচিত হয়েছে। এসব পাঠ্যপুস্তকে অধিকাংশ ছবি, চিত্র, শব্দ, বাক্য, তথ্য ও উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন সঙ্কিত করে তুলবে।
৬ষ্ট শ্রেণির ৯ টি বইয়ের মধ্যে কুরআন-সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বাইত, মুসলিম মনীষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বাণী, উদ্বৃতি, নীতি নৈতিকতা বর্জিত, উলঙ্গ, বেহায়াপনা, উচ্ছৃঙ্খল যৌন উদ্দীপনা বিষয়বস্তু সম্বলিত পাঠ বলে তারা উল্লেখ করেন।স্মারকলিপি প্রদান শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মুফতি মোঃ ওবায়দুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ মাগুরা সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর কবির, অধ্যক্ষ জগদাল রুপাটি আলিম মাদরাসা, মাগুরা সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মামুনার রশীদ, মহম্মদপুর উপজেলা জমিয়াতের সভাপতি নবীর হোসেন, অধ্যক্ষ ঝামা বরকত উলুম ফাজিল মাদরাসা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুজ্জামান, শালিখা উপজেলা জমিয়াতের সভাপতি মোঃ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা জমিয়াতের সভাপতি মোঃআব্দুল গফ্ফার, সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দীন প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন ৯১ ভাগ মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও দেব-দেবীর বিশ্বাস এবং তাদের আরাধনার শিক্ষা সাংস্কৃতির আদলে তৈরী বইগুলো মাদরাসায় পড়ানোর উপযোগী তো নয়ই এমনকি সেটা স্কুলের জন্যও উপযোগী নয়। যা মাদরাসা শিক্ষাবান্ধব সরকারকে ইসলাম ও মুসলমানদের ঐতিহ্য বিরোধী হিসেবে দাঁড় করিয়ে ধর্ম ও মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল অর্জনকে ম্লান করে দেবে। যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। তাই তারা মাদরাসা শিক্ষায় পাঠপুস্তকে স্বকীয়তা বজায় রাখতে ও জমিয়াতের বিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ আলেমেদের সমন্বয়ে পাঠ্যবই প্রণয়ন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ, সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় বাড়ী ভাড়া, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন, ভাতা ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিফিন প্রদানসহ ১৩ দফা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রিন্ট