যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন শান্তি হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা নাসির উদ্দিন মালিথা।
রোববার আত্মসমর্পনের পর বিজ্ঞ ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত (অতিরিক্ত-১) তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সকালে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ জুলাই রাতে গান্না বাজার থেকে কাশিমপুর নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলার শিকার হয়ে ৩ দিন পর চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান জাকির হোসেন শান্তি। এ ঘটনায় শান্তির শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন।
২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর নাসির উদ্দীনকে ৯ নং আসামী করে আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। সেই থেকে পলাতক নাসির উদ্দিন মালিথা। এই মামলায় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এর মধ্যে ৪ জন আসামী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে তারা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতা হিসেবে নাসির উদ্দিন মালিথার নাম জানায়। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন নাসির। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এসসি ৪৫/১৩ ও এসটিসি ১০৯/১১ মামলা দুটিতে বিজ্ঞ বিচারক ১২টি ওয়ারেন্ট ইস্যু করলেও থানায় পৌছেছে মাত্র দুটি।
পুলিশের চোখে নাসির পলাতক থেকেও গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের সাথে অনুষ্ঠান করে বেড়ান। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করেন।
আত্মসমর্পনের আগে কিনি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, তিনি ইউনিয়ন রাজনীতির শিকার হয়েছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করেন।
প্রিন্ট