ফরিদপুরের সদরপুরে যাত্রাবাড়ি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী হায়দার মাতুব্বর হত্যা মামলার আসামী ইলু বেপারী ওরফে বাচ্চু (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত গোলদার নেতৃত্বে কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে ইলুকে গ্রেপ্তার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ফরিদপুর কোর্ট-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই রাতে নিহত হায়দার পাওনা টাকা চাইতে উপজেলার মুটুকচর গ্রামের সৌদি প্রবাসী হাবিবের স্ত্রী লিপি আক্তার (৩৫) ও মনির মুন্সীর স্ত্রী পপি আক্তারের (৩২) বাড়িতে যায়। রাত অনুমান সাড়ে ৮টায় তাদের বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে হায়দারকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার ৪ দিন পর ২৯ জুলাই ঢাকা গ্রীণ লাইফ হাসপাতালে সে মারা যায়।পরে ঘটনাটি সড়ক দূর্ঘটনা বলে এলাকায় প্রচার করা হয়।
হায়দারের স্ত্রী রুমা বেগম জানান, আমার স্বামী কৃষ্ণপুর বাজারে সবজির দোকান করতেন। আসামী লিপি ও পপি তার থেকে টাকা ধার নেয়। উক্ত টাকা পরিশোদের জন্য চাপ দিলে গত ২৫ জুলাই রাতে পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। তাদের বসত ঘরে নিয়ে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় তাকে বেদম মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়।পরে একটি মটরসাইকেল চাপা দিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা প্রচার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তারা পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে নিহত হায়দারের স্ত্রী ফরিদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করে। কোর্ট মামলার তদন্তভার সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপর দেয়।
|
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত গোলদার খবরটি নিশ্চিতকরে জানায়, গত কাল শুক্রবার রাতে আমরা হায়দার হত্যা মামলার ১ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি ৯ আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট