সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর এবার ঝিনাইদহে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। জেলার শৈলকুপায় হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় মনিরুজ্জামান মনির (২৮) নামে এক গনমাধ্যম কর্মীকি উদ্ধার করেছে জনতা।
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর মনিরকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার ভোরে উপজেলার ধাওড়া বাজার এলাকায় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌছে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মুনির কাচেরকোল গ্রামের আববর শেখে ছেলে। তিনি ইনফো বাংলাসহ বেশ কয়েকটি অনলাইনে শৈলকুপা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন। ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম জানান, ভোর সোয়া ৫টার দিকে তাদের গ্রামের বাজার এলাকার কয়েকজন মুসল্লি ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে হাত পা বাধা অবস্থায় দেখতে পান। জুতা ও জ্যাকেটের ফিতা দিয়ে তার হাত পা বাধা ও মুখে মাস্কের উপর টেপ লাগানো ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বুধবার রাত ১০টার দিকে কাচেরকোল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ডিস বাবু, সাদিকপুর গ্রামের নতো শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর, মধুদা গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, কাচেরকোল গ্রামে মৃত আশাহকের ছেলে আশরাফুল হোসেন, কাচেরকোল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সোহেল, নুর আলী বিশ্বাসের ছেলে স্বপন বিশ্বাস একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর তার হাত পা বেধে মাইক্রোর মধ্যে নির্যাতন শুরু করে। এসময় তারা মাদক নিয়ে লেখার পরিণতি সম্পর্কে মনিরকে হুমকী দেয়। রাতভর নির্যাতরে পর হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় ধাওড়া বাজারের পাশে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় শৈলকুপার গনমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
মনিরের পিতা আকবর আলী শেখ জানান এ ঘটনায় তারা শৈলকুপা থানায় একটি অভিযোগ দিবেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।