প্রত্যন্ত এলাকার একই সমাজে হিন্দু-মুসলিম পরিবারের বসবাস। মুসলিমদের প্রার্থনা পদ্ধতি ও ইসলামী সংস্কৃতি দেখে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন অপু-শেফালী দম্পতি। নিজেরা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে ইসলামী রীতি-নীতি অনুযায়ী দাম্পত্য জীবন যাপন করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পারিবারিক চাপের বিষয় চিন্তা করে ২০১৯ সালে অপুর্ব দাস অপু একাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। নতুন নাম নিজেই পছন্দ করে রাখেন “আব্দুল্লাহ আল মুইন”। আদালতে এফিডেভিট না করলেও পারিবারিকভাবে নিজেরা ইসলামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে ইসলামী নিয়মেই তারা দাম্পত্য জীবনযাপন করতে থাকেন।
বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট (নং-২০৭৫, তাং-০৯-১১-২২ইং) করে আব্দুল্লাহ আল মুইনের স্ত্রী শেফালী দাসও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি নিজের পছন্দেই নতুন নাম রাখেন “আমেনা বেগম”। মুইন-আমেনা দম্পতির একটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। নওমুসলিম এ দম্পতি রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের বাসিন্দা। আমেনা একই এলাকার সুধীর দাসের কন্যা।
এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী মুসলমানদের জীবনাচরণের আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী বই-পুস্তক পড়াশুনা করি। স্রষ্টার সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে ইসলামই একমাত্র প্রকৃত সত্য ধর্ম বলে প্রতিয়মান হয়।
তাই আল্লাহ আমাদের একমাত্র প্রভু ও হযরত মুহাম্মদ সা. আমাদের নবী এবং পবিত্র আল কুরআন একমাত্র ঐ স্রষ্টার উপর বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে স্থাপন করি। আমার ইসলাম ধর্মগ্রহণে আমাকে কেউ বাধ্য করেনি। আমার স্বামীও ইতিপূর্বে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে “আব্দুল্লাহ আল মুইন” নাম রেখেছেন। স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে নিজ ইচ্ছায় আদালতে এফিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এখন থেকে আমেনা বেগম নামে পরিচিত হবেন বলে জানান তিনি।
প্রিন্ট