ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলের এলাকাবাসীর প্রতিরােধ

নবগঙ্গা নদী থেকে ৩ টি ড্রেজার, ১টি ভলগেট সহ ৫ জনকে আটক করেছে নৌপুলিশ

নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা বন্ধে নৌপুলিশের অভিযানে ৩টি ড্রেজার, ১টি ভলগেট সহ ৫ জনকে আটক করেছে বড়দিয়া নৌপুলিশ। বুধবার বড়দিয়া নৌপুলিশ এবং কালিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনা টের পেয়ে অধিকাংশ ড্রেজার এবং ভলগেট এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ফব্রুয়ারি) দুপুরে দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় কয়েক’শ এলাকাবাসী লাঠীসােটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘাটে বিক্ষােভ করে নদী থকে ৩০টি ড্রেজার উঠিয়ে দিতে বাধ্য করে।
এলাকাবাসীর অভিযােগ, একবছর ধরে কালিয়ার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কােন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলা্রে বালু উত্তােলন করে। এভাবে বালু উত্তােলণের ফলে একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক’শ একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
দেওয়াডাঙ্গা ও নােয়াগ্রামের আসলাম, জহির মােল্যা, ইলিয়াজ মােল্যা জানান এলাকাবাসীর অভিযােগ, প্রায় একবছর ধরে কালিয়া এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কােন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলার বালু উত্তােলন করে।
দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েক দফা লিখিত অভিযােগ করেও কােন ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তােলন বন্ধ করে দিয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মােহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রবাবশালী মহল বালু উত্তােলণ করে কােটি টাকা আয় করছে। এতে সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নদীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জনগন বন্ধ করার পর  প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বালু উত্তােলণ করছি। এটা ডিসি, এসপি, এমপি সবাই জানেন। ইজারা আছে কিনা আমার জানা নেই।
অবৈধভাবে বালু উত্তােলনের ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন, আমি চর ডাকিছি, আমি লােয়েষ্ট হয়ে চর কিনিছি , বৈধ কি অবৈধ সেটা প্রশাসনের লােক ভালাে বুঝতে পারবে।
অভিযান পরিচালনাকারী বড়দিয়া নৌফাড়ির ইনচার্জ এসআই আসলাম বলেন, ইজারা ছাড়াই বালু উত্তােলন করছে একটি মহল, এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ এবং নদীপাড়ের অনেক স্থাপনা ভঙ্গে গেছে, তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সুইডেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

নড়াইলের এলাকাবাসীর প্রতিরােধ

নবগঙ্গা নদী থেকে ৩ টি ড্রেজার, ১টি ভলগেট সহ ৫ জনকে আটক করেছে নৌপুলিশ

আপডেট টাইম : ০৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা বন্ধে নৌপুলিশের অভিযানে ৩টি ড্রেজার, ১টি ভলগেট সহ ৫ জনকে আটক করেছে বড়দিয়া নৌপুলিশ। বুধবার বড়দিয়া নৌপুলিশ এবং কালিয়া থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনা টের পেয়ে অধিকাংশ ড্রেজার এবং ভলগেট এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার (২ ফব্রুয়ারি) দুপুরে দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় কয়েক’শ এলাকাবাসী লাঠীসােটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘাটে বিক্ষােভ করে নদী থকে ৩০টি ড্রেজার উঠিয়ে দিতে বাধ্য করে।
এলাকাবাসীর অভিযােগ, একবছর ধরে কালিয়ার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কােন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলা্রে বালু উত্তােলন করে। এভাবে বালু উত্তােলণের ফলে একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক’শ একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
দেওয়াডাঙ্গা ও নােয়াগ্রামের আসলাম, জহির মােল্যা, ইলিয়াজ মােল্যা জানান এলাকাবাসীর অভিযােগ, প্রায় একবছর ধরে কালিয়া এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কােন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলার বালু উত্তােলন করে।
দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েক দফা লিখিত অভিযােগ করেও কােন ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তােলন বন্ধ করে দিয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মােহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রবাবশালী মহল বালু উত্তােলণ করে কােটি টাকা আয় করছে। এতে সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নদীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জনগন বন্ধ করার পর  প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বালু উত্তােলণ করছি। এটা ডিসি, এসপি, এমপি সবাই জানেন। ইজারা আছে কিনা আমার জানা নেই।
অবৈধভাবে বালু উত্তােলনের ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন, আমি চর ডাকিছি, আমি লােয়েষ্ট হয়ে চর কিনিছি , বৈধ কি অবৈধ সেটা প্রশাসনের লােক ভালাে বুঝতে পারবে।
অভিযান পরিচালনাকারী বড়দিয়া নৌফাড়ির ইনচার্জ এসআই আসলাম বলেন, ইজারা ছাড়াই বালু উত্তােলন করছে একটি মহল, এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ এবং নদীপাড়ের অনেক স্থাপনা ভঙ্গে গেছে, তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।