সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে কুয়াকাটা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ইতোমধ্যে মহাসড়কের দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়কে শিক্ষার্থীরা আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৬ নভেম্বর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে ওই বাসের যাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়াকাটা -বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহনের বাস বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। কিন্তু আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তারা প্রতিবারই পার পেয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা ঘাতক চালকসহ পরিবহনের সংশ্লিষ্ট যাদের গাফিলতি রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, সাকুরা বাস কর্তৃপক্ষকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, চিকিৎসার গাফিলতির কারণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে, সাকুরা বাসের রুট পারমিট সাময়িকভাবে বাতিল করতে হবে, প্রত্যেক বাসকে জিপিএস ট্রাকিংয়ের আওতায় এনে অতিরিক্ত গতির জন্য স্বয়ংক্রিয় জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্পিড লক ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
প্রিন্ট