ঝিনাইদহের লম্পট ইমরান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরোকিয়ায় আবদ্ধ করে এক নারীকে। দুজনের মাঝে দীর্ঘদিন চলে আসছে এই সম্পর্ক।
ইতোমধ্যে এক সন্তানের জননী হয়ে গেছে ওই নারী। পরোকিয়ার ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই মহিলার ঘর থেকে এলাকাবাসী দুজনকে আটকে পুলিশে দিলেও ছেলে পক্ষের তদবিরে তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাধানগর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিণাকুডু উপজেলার রায়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত আলম মন্ডলের ছেলে ইমরান (২৫) নামে এক যুবক পাশাপাশি গ্রামের ঝিনাইদহ সদরের রাধানগর গ্রামের অতি দরিদ্র পরিবারের মর্জেম মন্ডলের মেয়ে আনজিরা (২০) এর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরোকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কও চালিয়ে আসছিল। ৪বছর আগে বিয়ে হয় আনজিরার, তার ঘরে এখন ৪ মাসের একটি পূত্র সন্তান হয়েছে, তার পরেও ঐ লম্পট ইমরান আনজিরার পিছু ছাড়েনি।
অবশেষে গত ২৮জানুয়ারী ইমরান আনজিরার কাছে এলে এলাকার লোকজন টের পেয়ে দুজনকে ধরে মারধর করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে স্থানীয় মাতবরদের সহায়তায় তাদের কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এব্যাপারে ভুক্তভোগি আনজিরা বলেন আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
আমার স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছে কিন্তু এখন বিয়ে করতে বললে ইমরান আর আমাকে বিয়ে করতে চাইনা এবং আমার স্বামীও সন্তানের পিতৃত্ব পরিচয় দিয়ে মেনে নিতে চাচ্ছে না।
আমি ইমরানের প্রতারনার শিকার, একজন অসহায় নারী হিসেবে আমি এই প্রতারক ইমরানের সঠিক বিচার চাই। ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য বিল্লাল হোসেন বলেন আমরা তাদের চালান দিয়ে দিয়ে ছিলাম পরে কিভাবে জামিন নিয়েছে তা আমার জানা নাই।
প্রিন্ট