ঢাকা , সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সালথায় পাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা দারিদ্র্য-ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট ও সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর দ্রুতই আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে বাংলাদেশঃ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃপ্ত শপথ বাঘায় উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন খোকসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত র‍্যাব আটকের পর নারীর মৃত্যু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‌ সেহরি ও ইফতার বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত ফরিদপুরে মহান “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন'” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নড়াইলে যুবলীগ নেতার অবৈধ ৩০ টি ড্রেজার মেশিন তাড়ালো এলাকাবাসী

নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২ ফব্রুয়ারি) দুপুরে দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় কয়েক’শ এলাবাসী লাঠীসাটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘাটে বিক্ষোভ করেন। এসময় একটি ট্রলারে করে বিক্ষুদ্ধ জনতা নদী থেকে ৩০টি ড্রেজার উঠিয়ে দিতে বাধ্য করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় একবছর ধরে কালিয়া এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কোন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলার বালু উত্তোলণ করে।
দেওয়াডাঙ্গা ও নোয়াগ্রামের আসলাম, জহির মোল্যা, ইলিয়াজ মোল্যা জানান, এই নদীর কিনারা থেকে এভাবে বালু উত্তোলণের ফলে আমাদের একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েক দফা লিখিত অভিযাগ করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মোহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলণ করে কোটি টাকা আয় করছে। এতে সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নদীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি এদিকে লাগেনি। তাই জীবন বাঁচাতে সাধারণ জনগণ নদী থেকে ড্রেজার সরাতে বাধ্য হয়েছে।
 সরেজমিনে দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর দেওয়াডাঙ্গা ঘাট এলাকায় দুই পারে প্রায় ৩০টির অধিক ড্রেজার বালু উত্তোলনরত প্রায় ১০০টি বালুবাহী জাহাজ বালু বহন করছে। নদীর পাড় ধসে রাস্তাসহ ফসলি জমি নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
ঠিকাদার রবিউল ইসলাম খান এর লোকরা ঘাঠে অফিস বসিয়ে বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন।সাংবাদিকের উপস্থিতির পর বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে ছবি তুলতে নিষেধ করেন।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি কালাম অবৈধ ইজারার প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।তবে আরেক প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন,এখানে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বালু উত্তোলণ করছি। এটা ডিসি, এসপি, এমপি সবাই জানেন। ইজারা আছে কিনা আমার জানা নেই।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন,আমি চর ডাকিছি,আমি লায়ষ্ট হয়ে চর কিনিছি ,বৈধ কি অবৈধ সেটা প্রশাসনের লোক ভালা বুঝতে পারবো।
Tag :

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সালথায় পাট সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা

error: Content is protected !!

নড়াইলে যুবলীগ নেতার অবৈধ ৩০ টি ড্রেজার মেশিন তাড়ালো এলাকাবাসী

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২ ফব্রুয়ারি) দুপুরে দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় কয়েক’শ এলাবাসী লাঠীসাটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘাটে বিক্ষোভ করেন। এসময় একটি ট্রলারে করে বিক্ষুদ্ধ জনতা নদী থেকে ৩০টি ড্রেজার উঠিয়ে দিতে বাধ্য করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় একবছর ধরে কালিয়া এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কোন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলার বালু উত্তোলণ করে।
দেওয়াডাঙ্গা ও নোয়াগ্রামের আসলাম, জহির মোল্যা, ইলিয়াজ মোল্যা জানান, এই নদীর কিনারা থেকে এভাবে বালু উত্তোলণের ফলে আমাদের একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েক দফা লিখিত অভিযাগ করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মোহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বালু উত্তোলণ করে কোটি টাকা আয় করছে। এতে সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নদীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি এদিকে লাগেনি। তাই জীবন বাঁচাতে সাধারণ জনগণ নদী থেকে ড্রেজার সরাতে বাধ্য হয়েছে।
 সরেজমিনে দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর দেওয়াডাঙ্গা ঘাট এলাকায় দুই পারে প্রায় ৩০টির অধিক ড্রেজার বালু উত্তোলনরত প্রায় ১০০টি বালুবাহী জাহাজ বালু বহন করছে। নদীর পাড় ধসে রাস্তাসহ ফসলি জমি নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
ঠিকাদার রবিউল ইসলাম খান এর লোকরা ঘাঠে অফিস বসিয়ে বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন।সাংবাদিকের উপস্থিতির পর বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে ছবি তুলতে নিষেধ করেন।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি কালাম অবৈধ ইজারার প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।তবে আরেক প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন,এখানে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বালু উত্তোলণ করছি। এটা ডিসি, এসপি, এমপি সবাই জানেন। ইজারা আছে কিনা আমার জানা নেই।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন,আমি চর ডাকিছি,আমি লায়ষ্ট হয়ে চর কিনিছি ,বৈধ কি অবৈধ সেটা প্রশাসনের লোক ভালা বুঝতে পারবো।