ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় সরকারি তিতুঁমির কলেজের শিক্ষার্থী মামুন হাসান (২১) কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের হোরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকুসহ ঘটনাস্থল থেকে শাকিল (১৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল রবিবার কলেজ শিক্ষার্থীর বড় ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে শাকিলসহ অজ্ঞাত আসামী করে ফুলবাড়ীয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত শাকিল উপজেলার ফুলতলা গ্রামের আ. মালেকের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আছিম-পাটুলী ইউনিয়নের রামনগর জোরপুকুর পাড় গ্রামের মৃত আ. হাইয়ের ছেলে মামুন হাসান। সরকারি তিতুঁমীর কালেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশ্ববর্তী কালাদহ ইউনিয়নের নিশিন্দার পাড় গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সাথে তাঁর প্রেমের সর্ম্পক চলছিল। প্রেম সংক্রান্ত এসব বিষয় নিয়ে মামুন ও শাকিলের মধ্যে দ্বন্ধ চলছিল।
গত শনিবার রাতে মামুন হাসান খাবার খেয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। প্রায় চার কিলোমিটার দূরে রাত প্রায় দশটার দিকে হোরবাড়ির উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে সড়কের পাশে মেহগণি বাগানে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায় পথচারিরা। লাশের পাশে শরীরে রক্তমাখা এক যুবককে চাকু হাতে দেখে পথচারিরা তাকে আটক করে বেঁধে ফেলে।পরে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ মামুনের মরদেহ ও শাকিলকে থানায় নিয়ে আসে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত মামুনের বাড়িতে লোকজনের ভীড়। আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করছে। মা মিনারা বেগম অনেকটা বাকরুদ্ধ। মা মিনারা বেগম জানায়, রাতে খাবার খাওয়ার সময় মামুন জানতে চায়, ফরম ফিলাপের টাকা সংগ্রহ হয়েছে কি না ? গতকাল রবিবার ফরম ফিলাপ করতে ঢাকায় কলেজে যাবার কথা ছিল বলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
মামলার বাদী আসাদুজ্জামান বলেন, প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় ছোট ভাই মামুনকে নৃঃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ঘাতক শাকিলসহ মেয়ের পরিবারের লোকজনও ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছি। হত্যার ঘটনায় জড়িতের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চাকু দিয়ে বুকে একাধিক আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে । নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রিন্ট