ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় হঠাৎ চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব

কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় হঠাৎ বাড়ছে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রায় এক সপ্তাহে চোখ ওঠার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর নারী-পুরুষ ও শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিনিয়তই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। তবে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষই বেশি।

এদিকে পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন চোখ ওঠা রোগীরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ রোগে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভেড়ামারা উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই কমবেশি চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতাল, পল্লী চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে চোখ ওঠা রোগী ভিড় জমাচ্ছেন। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ব্যথা অনুভব করা, রোদ্রে চরম অস্বস্তি লাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। আক্রান্ত শিশু ৪-৫ দিনে ভালো হলেও বয়স্কদের প্রায় ৮ থেকে১০ দিন লেগে যাচ্ছে।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমীন জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে চোখের ড্রপের সাপ্লাই নেই।

তবে এ রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় হঠাৎ চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব

আপডেট টাইম : ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় হঠাৎ বাড়ছে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রায় এক সপ্তাহে চোখ ওঠার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর নারী-পুরুষ ও শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতিনিয়তই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে। তবে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা পুরুষই বেশি।

এদিকে পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন চোখ ওঠা রোগীরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ রোগে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভেড়ামারা উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই কমবেশি চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতাল, পল্লী চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে চোখ ওঠা রোগী ভিড় জমাচ্ছেন। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ব্যথা অনুভব করা, রোদ্রে চরম অস্বস্তি লাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। আক্রান্ত শিশু ৪-৫ দিনে ভালো হলেও বয়স্কদের প্রায় ৮ থেকে১০ দিন লেগে যাচ্ছে।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমীন জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে চোখের ড্রপের সাপ্লাই নেই।

তবে এ রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে।


প্রিন্ট