পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ গ্রামে স্কুলছাত্রী রিয়া হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছেন রিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১১অক্টোবর) দুপুরে খানমরিচ মসজিদের পাশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন রিয়ার মা ময়না খাতুন।দি,নানী আয়শা খাতুন,গ্রামবাসী আঃ ওহাব প্রমূখ।
রিয়ার মা জানান,আমার মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে পড়াকালে একই গ্রামের মনির শাহের ছেলে তুহিন শাহ তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়ি থেকে ভাাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। আমরা গরীব মানুষ হওয়ায় মেয়ে নাবালিকা হওয়ার পরও এর কোন প্রতিকার পাইনি। এ অবস্থায় বিয়ের কিছুদিন পর তুহিন ও তার পিতা ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত ৬ জুন’২২ রিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে নিজ ঘরের ডাবের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়।
রিয়ার মা ময়না খাতুনের অভিযোগ,ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও আমাদের কোন কথা শোনেননি। লাশ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করেছে। পুলিশে ও তুহিনের পরিবার এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। রিয়ার মাসহ তার নানা-নানী অভিযোগ করেন আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। এঘটনার পর পুলিশী প্রতিবেদন,ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য বিষয়ে নারাজি জানিয়ে ময়না খাতুন গত ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনার আদালকে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তনাধীন। রিয়ার মৃত্যুর ৪ মাস পরে গত সোমবার (১০ অক্টোবর) মনির শাহ তার ছেলে তুহিন শাহকে আবারো বিয়ে করিয়েছেন। মঙ্গলবার যখন রিয়ার হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন চলছিল, তখন হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তুহিনের বৌভাতের অনুষ্ঠান হচ্ছিল।
এদিকে রিয়াকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে খানমরিচ গ্রামে এই প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও রিয়ার পরিবারের সদস্যরা রিয়া হত্যার বিচার ও দোষিদের শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে তুহিনের পিতা ও রিয়ার শ্বশুর মনির শাহ জানান,তার ছেলের প্রথম স্ত্রী নিজ ঘরের ডাবের সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটা পুলিশ ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট লেখা আছে।
আত্মহত্যার পর ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়েছিল কেন-এ প্রশ্নের জবাবে মনির শাহ বলেন, আপনারা এসেছেন, আমার ছেলের বৌভাত স্যার, একটু খাওয়া দাওয়া করেন। রিয়ার মৃত্যুর বিষয়টিতো মীমাংসা হয়ে গেছে।
প্রিন্ট