নড়াইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী সুবাস বোসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘনের অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমীর লিটুর সংবাদ সস্মেলন। আজ বেলা ১২টায় শহরের আলাদতপুরের নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমীর লিটু।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ শরিফুল ইসলাম.আওড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ আজিম বেগ সহ আরো অনেকে। লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন,নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ি গত সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রতিক বরাদ্দের ধার্য্যদিন ছিল। আমি নির্বাচনী এলাকার বাইরে থাকায় ওইদিন আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে আমার অনুপস্থিতিতে আমার সমর্থনকারি, প্রস্তাবকারিসহ কয়েকজন লোক রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক নড়াইল এর সম্মেলন কক্ষে প্রতিক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অবহিত হই যে, প্রতিক বরাদ্দের অনুষ্ঠানে নির্বাচনী কাজে দায়িত্বে থাকা সকল কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মানসে আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস তার সমর্থিত লোকজন দ্বারা আমার সমর্থনকারী ও প্রস্তাবকসহ অন্যান্য লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে এবং সরকারি সম্পদ নষ্ট করে।
যেটা ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে এবং ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ এবং প্রকাশিত সংবাদপত্রে এর সত্যতা প্রমান করে। ঘটনাস্থলে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের সন্ত্রাসী লোকজন আমার লোকজনকে হত্যার হুমকি ও ভয়ভিতি প্রদর্শন করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
পরে ডিসি অফিসের হলরুম থেকে আমার সমর্থনকারি, প্রস্তাবকারীসহ সাথে থাকা অন্যান্য লোকজন শহর ত্যাগ করতে পুলিশের সহায়তায় করে। যা নির্বাচন বিধিমালার ধারা-১৮ এর (ক) এবং (গ) লঙ্ঘন করেছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোস। সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু আরো বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৬ কোটি ব্যয়ে ‘লাল পুকুর বিউটিফিকেশন’ প্রকল্প কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস যোগদান করেন যা নির্বাচন বিধিমালার ২৩-ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
সুতরাং আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস উপরোল্লেখিত কর্মকান্ড সংঘটিত করায় জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ধারা-১৮ এর (ক) এবং (গ) ও ২৩ ধারা সমূহ লঙ্ঘন করেছেন। আমি জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ধারা-৩১ মোতাবেক তার বিচারের দাবী জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করায় নির্বাচন কমিশন প্রশংসিত হয়েছে।
অতএব আপনাদের প্রতি আমার আবেদন আগামি ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
প্রিন্ট