ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও, পিআইও ও প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo প‍্যারিসে বন্ধনের আয়োজনে পিঠা উৎসব Logo সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের মুক্তি দাবি করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা Logo গোমস্তাপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশ দায়ে ভারতীয় নাগরিক আটক Logo সদরপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু Logo কুষ্টিয়ায় মাটি কাটার অপরাধে ৪ জনের কারাদণ্ড Logo গাজনা আশাপুর আদর্শ ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ Logo মধুখালীতে সাবেক কাউন্সিলরের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি Logo বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ Logo কুষ্টিয়ায় ক্যান্সার নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব ও সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কুলখানি আগামীকাল

আগামীকাল রবিবার  মাননীয় সংসদ উপনেতা ও ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা-কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হল চত্বরে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংসদ উপনেতার পিএস (ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) বেনজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগামীকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হল চত্বরে এ কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে।
কুলখানিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সমাজের বিশিষ্টজন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ স্বজনরা অংশ নিবেন। এসময় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এর আগে গত রোববার  দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সাজেদা। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ফরিদপুর-২; (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও, পিআইও ও প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

error: Content is protected !!

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কুলখানি আগামীকাল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ :
আগামীকাল রবিবার  মাননীয় সংসদ উপনেতা ও ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা-কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হল চত্বরে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংসদ উপনেতার পিএস (ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) বেনজির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগামীকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হল চত্বরে এ কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে।
কুলখানিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সমাজের বিশিষ্টজন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ স্বজনরা অংশ নিবেন। এসময় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এর আগে গত রোববার  দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাজেদা চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন।
শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সাজেদা। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ফরিদপুর-২; (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুনঃ উদয়ন সংঘের উদ্যোগ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন

প্রিন্ট