জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) করা তালিকা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়নি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গাতেও। এ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাই তালিকায় দেশের সর্ব্বোচ্চ স্বীকৃতি পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাএম.এ.মান্নানের (বীর বিক্রম) নাম থাকায় বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন তাদের পরিবার ও আলফাডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধারা।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় তাদের নাম আসবে এটা মেনে নিতে পারছে না তাদের পরিবার। আলফাডাঙ্গায়মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকার ১ ক্রমিক নম্বরে এম.এ. মান্নানের(বীর বিক্রম) নাম রয়েছে।
এ ছাড়া ওই তালিকায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত সরদার হাবিবুর রহমানসহ অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে, যারা আলফাডাঙ্গার সর্বজন স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি। হঠাৎ করে তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় আসায় বিব্রত হয়েছেন তাদের পরিবারের লোকজন। আগামী ৩০ জানুয়ারি তাদের সনদসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত দলিল দস্তাবেজ দাখিল করতে হবে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলাতে নতুন করে যাচাই-বাছাই তালিকায় ১০৬ জন ব্যক্তির নাম এসেছে। ভারতীয় তালিকা ও লাল মুক্তিবার্তার খেতারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার নামও রয়েছে এ তালিকায়। তাদের মধ্যে থেকে ভারতীয় তালিকায় নাম রয়েছে সাতজন, লাল মুক্তিবার্তায় রয়েছে ১১ জনের নাম। লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকায় রয়েছে এমন চারাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছেন। যারা সবাই ভাতাভোগী।
উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা বীর বিক্রম এম.এ মান্নানেরছেলে মো.মাহাবুব আলম জানান, আমার বাবা বীর বিক্রম উপাধি পেয়েছেন। তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।স্বাধিনতার ৫০ বছর অতিক্রম হওয়ার পরে এই সময় আমার প্রয়াত বাবার নাম নতুন করে যাচাই-বাছাই তালিকায় দেখে আবাক হলাম। এটা শুধু আমাদের পরিবারের অপমান না সমগ্র বীর মুক্তিযোদ্ধা তথা বীর বিক্রমদের অপমান করার শামিল।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান জানান, এতদিন পর এসব বীর মুক্তিযোদ্ধোর নতুন করে যাচাই-বাছাই হবে, সেটা সমগ্র মুক্তিযোদ্ধার অসম্মান করা ছাড়া আর কিছুই না।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ এলাহী সমকালকে বলেন, জামুকা মুক্তিযোদ্ধা এ তালিকা পাঠিয়েছে। শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের নাম তালিকায় থাকায় বিষয়টি নিয়ে তারাও অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন।
প্রিন্ট