ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোরে আলুর বস্তার ভাড়া ১২ টাকা ! Logo দিনাজপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজ ২৪৫ ফুলবাড়ী থানা উপ কমিটির পরিচিতি ও সংবর্ধনা Logo কুষ্টিয়া ছাগলের ঘাঁস কাঁটতে গিয়ে নরসুন্দরের রহস্যজনক মৃত্যু Logo ইবিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা Logo ফুলবাড়ীতে কাজিহাল ইউনিয়নের কয়েকটি হাট পরিদর্শন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পবিস-১ আবাসিক মিটারে বিল সাড়ে ১১ লাখ টাকা

পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের একটি আবাসিক ভবনের মিটারে সেপ্টেম্বর মাসের ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ ভবনে কেউ বসবাস না করলেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫শত ৮৭ টাকা।  আর ব্যবহার হয়েছে ৯০ হাজার ১ শত ৫০ ইউনিট।
বিল প্রস্তুত কারক আসমা ও এ জিএম অর্থ এর স্বাক্ষর সম্বলিত বিলটি ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা হাতে পান। কিন্তু মিটার মালিক জানান গত ৬ মাসে পরিবারের কোন সদস্যই থাকেন না ওই বাড়িতে। এরকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির অফিসে নতুন কোন বিষয় না।
কারো নজরদারী না থাকায় এসকল ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভুমিকা প্রদর্শন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে। এই অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে নাম, পিতার নাম, মোবাইল নং ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এ জিএম অর্থর এই বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ লক্ষ গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বিভিন্ন সময়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার অধীর কুমার সরকারের জিরো পয়েন্ট বাড়ীর ৪৭৬৬ নং হিসাবের সেপ্টেম্বর-২২ মাসের বিদ্যুৎ বিল দায়িত্বরত লোকের কাছে দিয়ে চলে যান। এসময় পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ বিলের
পরিমান দেখে আতকে উঠেন। মিটার রিডার রেজাউলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দেখছি বলে এই বিলের কপিটি নিয়ে যেতে চান। পরে রাতে আবারো নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় এই বিল।
 সকালে এজিএম অর্থকে দিয়ে জোর পূর্বক আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার। এসকল বিষয় নিয়ে ভূক্তোভগীসহ এলাকাবাসী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অদক্ষ লোকবল আর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান সমিতির সদস্যরা।
বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভূল স্বীকার করে জানান, মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভূল হতেই পারে। নিউজটি না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ- ১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আকমল হোসেন জানান, বিলটি কেউ ক্রসচেক করলে এমনটি হতো না। যদি কারো দোষ থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোরে আলুর বস্তার ভাড়া ১২ টাকা !

error: Content is protected !!

পবিস-১ আবাসিক মিটারে বিল সাড়ে ১১ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের একটি আবাসিক ভবনের মিটারে সেপ্টেম্বর মাসের ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ ভবনে কেউ বসবাস না করলেও বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫শত ৮৭ টাকা।  আর ব্যবহার হয়েছে ৯০ হাজার ১ শত ৫০ ইউনিট।
বিল প্রস্তুত কারক আসমা ও এ জিএম অর্থ এর স্বাক্ষর সম্বলিত বিলটি ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা হাতে পান। কিন্তু মিটার মালিক জানান গত ৬ মাসে পরিবারের কোন সদস্যই থাকেন না ওই বাড়িতে। এরকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতির অফিসে নতুন কোন বিষয় না।
কারো নজরদারী না থাকায় এসকল ঘটনা ঘটলেও পবিস-১ প্রশাসন নিরব ভুমিকা প্রদর্শন করে। জোর করেই দোষ চাপানো হয় গ্রাহকের ঘাড়ে। এই অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে নাম, পিতার নাম, মোবাইল নং ভুলে ভরা। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এ জিএম অর্থর এই বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ লক্ষ গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বিভিন্ন সময়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার অধীর কুমার সরকারের জিরো পয়েন্ট বাড়ীর ৪৭৬৬ নং হিসাবের সেপ্টেম্বর-২২ মাসের বিদ্যুৎ বিল দায়িত্বরত লোকের কাছে দিয়ে চলে যান। এসময় পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ বিলের
পরিমান দেখে আতকে উঠেন। মিটার রিডার রেজাউলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দেখছি বলে এই বিলের কপিটি নিয়ে যেতে চান। পরে রাতে আবারো নতুন করে প্রিন্ট দেওয়া হয় এই বিল।
 সকালে এজিএম অর্থকে দিয়ে জোর পূর্বক আগের বিল নিয়ে নতুন বিল চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মিটার রিডার। এসকল বিষয় নিয়ে ভূক্তোভগীসহ এলাকাবাসী চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অদক্ষ লোকবল আর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান সমিতির সদস্যরা।
বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভূল স্বীকার করে জানান, মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভূল হতেই পারে। নিউজটি না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ- ১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আকমল হোসেন জানান, বিলটি কেউ ক্রসচেক করলে এমনটি হতো না। যদি কারো দোষ থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিন্ট