ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইচ্ছেমতো ফি আরোপ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইচ্ছেমতো শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির যোগসাজসে বিভিন্ন ফি আরোপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

করোনাকালীন সময়ে সরকার যেখানে সাতটি খাতে কোন প্রকার ফি নিতে নিষেধজ্ঞা করেছেন, উক্ত ফি নেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফি নির্ধারণ নিয়ে নির্দেশনায় আরো বলা হয়, যদি কোনো অভিভাবক আর্থিক সংকটে পতিত হন, তা হলে তার সন্তানের টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নিবেন। কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যেন কোন কারণে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়, ২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন ফির নামে অর্থ নিতে পারবে না।

সদরপুর উপজেলায় ২৪টি বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে সরকারী ২টি, বেসরকারী মাধ্যমিক ১৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক ১টি ও এমপিও বিহীন ২টি । বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, তার ছেলের ভর্তি ফি বাবদ ১ হাজার ১শত ৫০টাকা ও বাইশ রশি শিব সুন্দরী একাডেমীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক একই অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি মানবিক বিভাগে ৯ম শ্রেণীতে অ্যাসাইনমেন্ট জমা বাবদ ১হাজার ৯শত ৬০ টাকা ও দশম শ্রেনীতে নতুন ভর্তি বাবদ ১হাজার ৫০ টাকা নিয়েছে।

এ ছাড়া ও উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন শ্রেনীতে নতুন ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে, সদরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোন ফি গ্রহণ করতে পারবে না।

এছাড়াও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত একই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে তা হলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

সদরপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ইচ্ছেমতো ফি আরোপ

আপডেট টাইম : ০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইচ্ছেমতো শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির যোগসাজসে বিভিন্ন ফি আরোপ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

করোনাকালীন সময়ে সরকার যেখানে সাতটি খাতে কোন প্রকার ফি নিতে নিষেধজ্ঞা করেছেন, উক্ত ফি নেওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফি নির্ধারণ নিয়ে নির্দেশনায় আরো বলা হয়, যদি কোনো অভিভাবক আর্থিক সংকটে পতিত হন, তা হলে তার সন্তানের টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নিবেন। কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যেন কোন কারণে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যত্নশীল হতে হবে। পাশাপাশি বলা হয়, ২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তা হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন ফির নামে অর্থ নিতে পারবে না।

সদরপুর উপজেলায় ২৪টি বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে সরকারী ২টি, বেসরকারী মাধ্যমিক ১৯টি, নিম্ন মাধ্যমিক ১টি ও এমপিও বিহীন ২টি । বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, তার ছেলের ভর্তি ফি বাবদ ১ হাজার ১শত ৫০টাকা ও বাইশ রশি শিব সুন্দরী একাডেমীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক একই অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি মানবিক বিভাগে ৯ম শ্রেণীতে অ্যাসাইনমেন্ট জমা বাবদ ১হাজার ৯শত ৬০ টাকা ও দশম শ্রেনীতে নতুন ভর্তি বাবদ ১হাজার ৫০ টাকা নিয়েছে।

এ ছাড়া ও উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন শ্রেনীতে নতুন ভর্তি বাবদ অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে, সদরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত ১৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোন ফি গ্রহণ করতে পারবে না।

এছাড়াও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত একই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে তা হলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।