ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নির্বাহী অফিসার ও ওসির বিরুদ্ধে বালু ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বিনা নোর্টিশে ভেকু ভাঙচুর ও আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ অবৈধভাবে মসোহারা আদায় ও বালু ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্রলি মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে আলফাডাঙ্গা সদর বাজার চৌরাস্তায় ট্রলি মালিক সমিতি ও বালু ব্যবসায়ীবৃন্দ মানববন্ধন কমৃসূচি শেষে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বালু ব্যবসায়ীর পক্ষে শামিম মোল্যা।

লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান গত ৩১ আগস্ট থেকে সকল প্রকার বালু সরবরাহ ও বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যবসা বন্ধ থাকায় বালু ব্যবসায়ীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।পাশ্ববর্তী সকল উপজেলাতে বালু সরবরাহ করার কাজে নিয়মিত ভাবে ট্রলি গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে। শুধু মাত্র আলফাডাঙ্গার ওসি আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে টাকা নেওয়া সত্ত্বেও বালু সরবরাহ বন্ধ করে দেন। টাকার পরিমাণ বাড়ালে গাড়ি ছেড়ে দেন। এভাবে একাধিক বার ট্রলি বন্ধ করে মাসিক টাকার অংক বাড়িয়ে নিয়েছে। ৩১ আগস্ট আবারও ট্রলি বন্ধ করে ওসি টাকার পরিমাণ বাড়ানোর পায়তারা করছে।

লিখিত বক্তব্য থেকে আরও জানা যায়,গত ৩০ আগস্ট আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বিনা নোর্টিশে ট্রলি গাড়িতে বালু ভরাট করার কাজে ব্যবহৃত ভেকু ভেঙে অকেজো করে দিয়েছেন। এতে ভেকু মালিকের প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মানববন্ধনে বালু ব্যবসায়ী ও ট্রলি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন, দাউদ মোল্যা, শামিম মোল্যা, আনোয়ার হোসেন ও সাদেক মোল্যা প্রমুখ।
ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান মাসিক টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, অবৈধ ট্রলি ব্যবহার করে অবৈধ বালু ব্যবসা করছেন এক শ্রেণির অবৈধ ব্যবসায়ীরা। এই ট্রলির কারণে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ঘাটের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। যাহার কারণে ট্রলি বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ ট্রলি চালুকরার জন্য এই ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসির বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করছে।

আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছায়ানীড় পরিবারের কোরআন বিতরণ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক জানান, অবৈধ কাজে যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়েছে সেটাও অবৈধ। অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নির্বাহী অফিসার ও ওসির বিরুদ্ধে বালু ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসার বিনা নোর্টিশে ভেকু ভাঙচুর ও আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ অবৈধভাবে মসোহারা আদায় ও বালু ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ট্রলি মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে আলফাডাঙ্গা সদর বাজার চৌরাস্তায় ট্রলি মালিক সমিতি ও বালু ব্যবসায়ীবৃন্দ মানববন্ধন কমৃসূচি শেষে আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাব কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন বালু ব্যবসায়ীর পক্ষে শামিম মোল্যা।

লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান গত ৩১ আগস্ট থেকে সকল প্রকার বালু সরবরাহ ও বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যবসা বন্ধ থাকায় বালু ব্যবসায়ীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।পাশ্ববর্তী সকল উপজেলাতে বালু সরবরাহ করার কাজে নিয়মিত ভাবে ট্রলি গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে। শুধু মাত্র আলফাডাঙ্গার ওসি আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে টাকা নেওয়া সত্ত্বেও বালু সরবরাহ বন্ধ করে দেন। টাকার পরিমাণ বাড়ালে গাড়ি ছেড়ে দেন। এভাবে একাধিক বার ট্রলি বন্ধ করে মাসিক টাকার অংক বাড়িয়ে নিয়েছে। ৩১ আগস্ট আবারও ট্রলি বন্ধ করে ওসি টাকার পরিমাণ বাড়ানোর পায়তারা করছে।

লিখিত বক্তব্য থেকে আরও জানা যায়,গত ৩০ আগস্ট আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বিনা নোর্টিশে ট্রলি গাড়িতে বালু ভরাট করার কাজে ব্যবহৃত ভেকু ভেঙে অকেজো করে দিয়েছেন। এতে ভেকু মালিকের প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মানববন্ধনে বালু ব্যবসায়ী ও ট্রলি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন, দাউদ মোল্যা, শামিম মোল্যা, আনোয়ার হোসেন ও সাদেক মোল্যা প্রমুখ।
ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান মাসিক টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, অবৈধ ট্রলি ব্যবহার করে অবৈধ বালু ব্যবসা করছেন এক শ্রেণির অবৈধ ব্যবসায়ীরা। এই ট্রলির কারণে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ঘাটের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হচ্ছে। যাহার কারণে ট্রলি বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ ট্রলি চালুকরার জন্য এই ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসির বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করছে।

আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছায়ানীড় পরিবারের কোরআন বিতরণ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক জানান, অবৈধ কাজে যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়েছে সেটাও অবৈধ। অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


প্রিন্ট