গাজীপুরের শ্রীপুরে গজারি বনের ভেতর থেকে গতকাল রোববার এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রাম্য সালিসে অপবাদ দেওয়ায় ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারীর স্বজনেরা থানায় মামলা করেছেন।
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেতঝুড়ি গ্রামের মহিলা মোড় এলাকায় একটি গভীর জঙ্গলে এ সালিস বৈঠক হয়। ওই নারী প্রবাসীর স্ত্রী। স্থানীয় কয়েকজন সালিস বসিয়ে তাঁকে ডেকে এনে তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তোলে।
সালিসে উপস্থিত সূত্র জানায়, ওই নারীকে টানাহেঁচড়া ও শারীরিক নির্যাতন করে স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই নারীর সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা। সালিস বৈঠক শেষ হওয়ার ১৯ ঘণ্টা পর রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) শ্রীপুর থানা পুলিশ উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বেতঝুড়ি গ্রামের গভীর গজারি বনে ওই নারীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে।
নারীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম আমার বোনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। এই প্রস্তাবের মাত্রা দিন দিন বাড়ছিল। আমার বোন বিরক্ত হয়ে তাঁকে নিষেধ করে। এরপর স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে মিলে প্রতারণা করতে থাকে। এরপর মোবাইল ফোনে কথোপকথন রেকর্ড করে সৌদি আরবে থাকা আমার বোনের স্বামীর কাছে পাঠায়। এরপর থেকে আমার বোনের সংসারে অশান্তি শুরু হয়।’
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে রোববার রাতে শ্রীপুর থানায় চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলা অভিযুক্তরা হলেন—মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. হাছান (৩২), শরবত আলী (৪৫), মমতাজ বেগম (৪০), দুলাল উদ্দিন (৪৯)।
আরও পড়ুনঃ মহেশপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।