বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বিএনপির সমাবেশ পন্ড হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশের কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষন। এ ঘটনায় ৩০ জনন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে কালিয়া ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার নড়াগাতিতে ঘটেছে এ সংঘর্ষের ঘটনা। ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্যে বৃহস্পতিবার বিকালে নড়াগাতি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। বিকাল ৫ টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর অল্প সময়ের মধ্যেই বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উভয় দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেছেন, বিকালে তিনি সমাবেশ স্থলে পৌঁছালে ও সমাবেশ শুরু হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে হামলা চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দিয়েছে। হামলায় তার দলের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সায়দাত কবির রুবেল, খাসিয়াল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফফার, ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আবদুল্লাহ, নড়াগাতি থানা ছাত্রদলের সদস্য ফাহিম খান, কর্মী জনি গাজী, সোহান বিশ্বাস, মুন্না শেখ,আনোয়ার চৌধুরী। তুহিন চৌধুরী,শিমুল গুলিতে আহত হয়েছেন।
নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন বশির অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা কাজী সরোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ বিএনপির সমাবেশ স্থল থেকে মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসে ও তাদের উপর হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করলে কাজী সরোয়ার হোসেন রক্তাক্ত জখম হন। ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশে থাকা আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকরা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে এলে ইসাবুল মোল্য (৪৫), পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছালিম শিকদার (৪৪), ও রাসেল খানসহ (২৫) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পাংশা শহরে ওএমএস’র চাল বিক্রয় শুরু
নড়াগাতি থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কঠোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে কেউ আহত হয়েছেন কিনা তা তিনি জানেন না।
প্রিন্ট