ফরিদপুরের শহরাঞ্চলে মাটির জিনিসপত্র চাহিদা কম থাকলেও গ্রামাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে প্রচন্ড।
একই সাথে বিভিন্ন মাটির তৈজসপত্র সামগ্রী বিক্রি করে অস্থায়ী দোকানিরা কিছু ইনকাম করতে পারছেন বলে অস্থায়ী দোকানীরা জানান।
এ ব্যাপারে কথা হয় চন্ডিপুর এর উত্তম পালের সাথে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি জানান, শহরাঞ্চলে মাটির জিনিসপত্র দাম চাহিদা কম থাকলেও গ্রাম অঞ্চলে ভালোই চাহিদা রয়েছে। তার কাছে যে সমস্ত জিনিস রয়েছে তার মধ্যে পিঠের সাজ-৫০ টাকা কলোস ৮০ টাকা ,থাল ৫০ টাকা,ঢাকনা ৪০ টাকার মধ্যে। যা সব শ্রেণীর লোকজন কিনতে পারে।
তিনি জানান শহর অঞ্চলে মেলামাইন , প্লাস্টিক, আরএফএল সহ অন্যান্য প্রোডাক্ট এর কারণে সেগুলোর উপর মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। অন্যদিকে তার দামও তুলনামূলক বেশি । কিন্তু মাটির জিনিসপত্র দাম কম থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলে মানুষের কাছে তা প্রচন্ড আকর্ষণীয় বস্তু। যে কারণে শহরাঞ্চলে আমাদের জিনিসপত্র বিক্রিয় কম। গ্রামাঞ্চলে তার ব্যতিক্রম। এখানে একটু কষ্ট করলেও প্রতিদিন ১৫০০-১৭০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব। সবকিছু মিলেও সারাদিনে লাভ থাকে কমপক্ষে ছয়শ টাকা। গ্রামাঞ্চলে অনেকেই মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করছেন যেখানে শহরে সেটা শখ হিসেবে পরিণত হয়।
সরকার যদি এই শিল্পের দিকে নজর দেয় তাহলে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের সুদিন আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কেননা মাটির এই শিল্প বাংলার ঘরে ঘরে একসময় ছিল পরিচিত। তিনি এ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের সদিচ্ছা কামনা করেন
প্রিন্ট